শিরোনামঃ-

» সীমান্তবর্তী নাফ নদীতে নৌকাডুবি; নিখোঁজ ৩১ জন রোহিঙ্গা

প্রকাশিত: ০৫. ডিসেম্বর. ২০১৬ | সোমবার

ডেস্ক সংবাদঃ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরতা থেকে নিজেকে বাঁচাতে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে গিয়ে সীমান্তের নাফ নদীতে নৌকা বোঝাই রোহিঙ্গা সহ নৌকাডুবি হয়েছে।

এতে ১ মহিলাকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বাকি অন্তত ৩১ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

সোমবার ভোররাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা বরাবর নাফ নদীর মোহনাতে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন জেলেরা।

উদ্ধার হওয়া মহিলার নাম রেহেনা আকতার (২৫)। তিনি ধ্বংসস্তূপ হয়ে যাওয়া মংডু থানার বড় গওজবিল এলাকার মৌলভী সলিমের স্ত্রী।

রেহেনা জানান, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, পুলিশ ও মগদের হাতে নির্যাতনের শিকার মংডুর বিভিন্ন গ্রামের ৩০-৩২ জন নারী-পুরুষ ও শিশু বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসছিলেন।

একটি নৌকায় করে রাতে নাফ নদী পার হতে গিয়ে হঠাৎ নৌকাটি ডুবে যায়। তাদের আর্তচিৎকারে জেলেরা এসে কয়েকজনকে উদ্ধার করে। তবে বাকিরা কে কোথায় গেছে, কিছুই বলা যাচ্ছে না। নৌকায় তার মা, ভাবী এবং ভাইয়ের ২ শিশু সন্তান ছিল।

প্রাণ বাঁচাতে এসে নদীতে তারা নিখোঁজ হয়েছেন বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন রেহেনা।

উদ্ধার কাজে নেতৃত্ব দেয়া হ্নীলা নাটমুরা পাড়ার জেলে পল্লীর বাসিন্দা আশিষ ও সুমন্ত্র দাশ জানান, নদীর মাঝ পথ থেকে হঠাৎ নারী-শিশুর কান্নার আওয়াজ পেয়ে সেদিকে যাই আমরা।

রাতের আবছা আঁধারে তেমন কিছুই দেখতে পায়নি। সামনে ১ জনকে পেয়ে নৌকায় তুলে নিয়েছিলাম। বাকিদের অনেক চেষ্টা করেও উদ্ধার করতে পারিনি। বিজিপির ভয় থাকায় বেশি খোঁজ করাও সম্ভব হয়নি।

সকালে তারা নাফ নদীতে ৩টি মরদেহ ভাসতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। তাদের ধারণা, ছোট নৌকাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করায় এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় একাধিক সুত্র জানিয়েছে, জাদীমুরা গ্রামে অবস্থানরত কতিপয় রোহিঙ্গা সিন্ডিকেট রাতের আঁধারে রোহিঙ্গাদের পারাপারে জড়িত।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মজিদ জানান, খবর পেয়ে হ্নীলা এলাকায় পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৭৮ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031