শিরোনামঃ-

» বেসরকারি হাসপাতালে চাকরিতে বাবুল আক্তার

প্রকাশিত: ০৪. ডিসেম্বর. ২০১৬ | রবিবার

ডেস্ক সংবাদঃ বহুল আলোচিত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার এখন একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ নিয়েছেন। রাজধানীর মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালের পরিচালক তিনি। নিয়মিত অফিসও করছেন।

আদ-দ্বীনে কাজ নেয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন। হাসপাতালের প্রশাসন বিভাগ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে পরিচালক হিসেবে যোগ দেয়ার বিষয়টি।

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু খুন হওয়ার পর চাকরি থেকে অব্যাহতি চান বাবুল আক্তার। পরে চাকরি ফিরে পাওয়ার আবেদন করেলও তা ফেরত পাননি। এরপর থেকে নিজেকে আড়াল করে নেন বাবুল আক্তার। ১ নভেম্বর থেকে আদ-দ্বীন হাসপাতালে চাকরি নেন তিনি।

৫ জুন চট্টগ্রামে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। সাত মাসের তদন্তেও পুলিশ ওই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে একের পর এক নাটকীয় ঘটনা সামনে আসে। হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় সন্দেহভাজন আসামি মুসা সিকদার ওরফে আবু মুসা ও তার সহযোগী কালু। পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যায় দুই সন্দেহভাজন রাশেদ ওরফে ভাগিনা রাশেদ ও আবদুল নবী।

এসব ঘটনা এবং বাবুল আক্তারের চাকরি ছাড়া বা ফিরে পাওয়ার আবেদন সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন তৈরি করেছে।

৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় বাবুল আক্তারকে। ১ নভেম্বর তিনি আদ-দ্বীন হাসপাতালে যোগ দেন। তবে কী পদে যোগ দিয়েছেন, তা জানাতে পারেননি মোশাররফ হোসেন।

তবে পারিবারিক সূত্র হতে জানা যায়, বনশ্রী এলাকার সবরীম স্কুলে প্লে শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়েছে বাবুল আক্তারের ছোট মেয়ে তাবাসুম তাজনীন টাপুরকে। একই স্কুলে বড় ছেলে আক্তার মাহমুদ মাহিন ভর্তি হয়েছে প্রথম শ্রেণিতে।
বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বলেন, মাঝে মধ্যে সকালে বাচ্চা দুটিকে আমি নিজে স্কুলে নিয়ে যাই। আবার ওদের স্কুল থেকে নিয়ে আসি। ছুটির দিন ওদেরকে ওদের বাবা সময় দেয়।
বাবুল আক্তারের ২ সন্তান সুস্থ আছেন জানিয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, বড় ছেলেটা মাঝে মধ্যে বুঝতে পারে যে তার মা মারা গেছে। আবারও কখনও বলে, আম্মু কবে আসবে। ছোট মেয়ে টাপুর মাঝে মধ্যেই বলে, আম্মু কী বুড়ি হয়ে বাসায় আসবে। বাসায় এলে আম্মু কী আমাকে চিনতে পারবে- এমন সব নানা প্রশ্ন।

তিনি বলেন, সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাবুলের কিছু না কিছু করতেই হতো। তাই সে নতুন চাকরিতে যোগদান করেছে। এতে বাবুল তার মানসিক চাপ থেকে কিছুটা হলেও বের হয়ে আসতে পারবে।

এ ব্যাপারে বাবুল আক্তারের বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া বলেন, আমাদেরও বাবুল বলেছে, সে কাজ করছে। তবে কোথায় কাজ করছে তা বলেনি। আমরাও চাই, সে কাজ করুক এবং তার আগের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক। সব কিছু ভুলে স্বাভাবিক জীবন যাপন করুক।

আদ-দ্বীন হাসপাতালের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বাবুল আক্তার হাসপাতালের বেতনভুক্ত পরিচালক হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছেন। তিনি হাসপাতালের সার্বিক বিষয়ে দেখাশোনা করছেন এবং নিয়মিত অফিস করেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪০১ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031