- মহানগরীর ভিক্ষুক ও হিজড়াদের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবীতে সিসিক মেয়র বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান মঙ্গলবার
- বরইকান্দি মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল ইসলামের বিদায়ী সংবর্ধনা মঙ্গলবার
- একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জাতীয় সম্মেলনে সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার যোগদান
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সিলেট স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিশাল শোভাযাত্রা
- পাত্র সম্প্রদায় কল্যাণ পরিষদ’র উদ্যোগে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- সিলেট জেলা কাজী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
- সিলেট-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালুর দাবিতে মানববন্ধন আগামীকাল
- খেলাঘর সিলেট জেলার প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত
- সিলেটে ‘আঞ্চলিক আযান প্রতিযোগিতা’র পুরস্কার বিতরণ
- মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির সেমিনারে ব্যারিস্টার নাজির
» গ্রামীণফোনকে ৩০ কোটি টাকা জরিমানা করলো বিটিআরসি
প্রকাশিত: ০১. নভেম্বর. ২০১৬ | মঙ্গলবার
সিলেট বাংলা নিউজ টেলিকমিনিকেশন ডেস্কঃ দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনকে ৩০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। একই সঙ্গে এডিএন টেলিকম লিমিটেড ও অগ্নি সিস্টেম লিমিটেড নামের দু’টি আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) প্রতিষ্ঠানকেও ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার এ জরিমানার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। ‘গো ব্রডব্যান্ড’ নামে অনুমোদনহীন এবং লাইসেন্সবিহীন আইএসপি সেবা দেওয়ার অভিযোগে এ জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, গ্রামীণফোন টেলিযোগাযোগ আইন ও তাদের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করেছে। এ কারণেই এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জরিমানার টাকা এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এডিএন ও অগ্নির ক্ষেত্রে একই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে শাহজাহান মাহমুদ বলেন, আইন লঙ্ঘন করে গো ব্রডব্যান্ড সেবার মাধ্যমে গ্রামীণফোন যে পরিমাণ টাকা আয় করেছে তাদের সেই পরিমাণ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে বিটিআরসির এ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে গতকাল বিকেলে গ্রামীণফোনের এক্সটারনাল কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান সৈয়দ তালাত কামাল বলেন, ‘আমরা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য পাইনি। সে কারণে বিষয়টি সম্পর্কে তেমন কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না। তবে গ্রামীণফোন গো ব্রডব্যান্ড বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েই সেবা দিয়েছে।’
এ বিষয়ে গত ১২ জুন অনুষ্ঠিত বিটিআরসির ১৯৭তম সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইন্টারসার্ভিস প্রোভাইডারদের সংগঠন আইএসপিএবি বিটিআরসির কাছে লিখিতভাবে এ মর্মে অভিযোগ করে যে গ্রামীণফোন লাইসেন্স ও টেলিযোগাযোগ আইন অমান্য করে ‘গো ব্রডব্যান্ড’ নামে দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংকের ব্রাঞ্চ অফিসগুলোতে ইন্টারনেট সংযোগ দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। সে চুক্তি মোতাবেক গ্রামীণফোন দেশের বিভিন্ন স্থানে অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করে ফিক্সড সংযোগ দিচ্ছে। আইএসপিএবি বিটিআরসিকে জানায়, গ্রামীণফোনের মতো একটি প্রতিষ্ঠান এ ধরনের অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দিলে লাইসেন্সধারী ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের টিকে থাকা সম্ভব হবে না।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি গ্রামীণফোন, এডিএন ও অগ্নির কাছে ব্যাখ্যা চাইলে এই তিন প্রতিষ্ঠান সম্মিলিতভাবে তার জবাব দেয়। প্রতিষ্ঠান তিনটি সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে তাদের চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের মোট ৫৫১টি ব্রাঞ্চের সঙ্গে সংযোগের তথ্য দেয়। এ ছাড়া জানায়, এডিএন ও অগ্নি নেশনওয়াইড আইএসপি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় তারা ইন্টারনেট ব্যবসা করতে পারে। আর ৩টি ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী গ্রামীণফোন লিড জেনারেটর হিসেবে চুক্তি করেছে এবং সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে গ্রামীণফোন ট্রান্সমিশন লিংক স্থাপন করেছে।
প্রতিষ্ঠান ৩টির এই জবাব ও আইএসপিএবি অভিযোগ যাচাই করে বিটিআরসির মূল্যায়ন, গো ব্রডব্যান্ড নামের কোনো সেবার বিষয়ে ওই তিন প্রতিষ্ঠান তাদের অনুমোদন নেয়নি। এতে ২০১২ সালের ২০ জুন ‘কো-অর্ডিনেটেড সার্ভিস’ প্রদানের জন্য ছয়টি শর্তসহ একটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। শর্তগুলোর মধ্যে ছিল—‘ইনফ্রাসট্রাকচার শেয়ারিং’ নীতিমালার আলোকে সব কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। শুধু এডিএন ও অগ্নি এ সেবা দিতে পারবে।
অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ৩টি তাদের জবাবে বিটিআরসিকে জানায়, ওই শর্ত ২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ভেটিং হয়। কিন্তু বিটিআরসির দাবি ওই ভেটিং অনুমোদনের সময় মনে করিয়ে দেওয়া হয় যে গ্রামীণফোনকে নয় বরং এডিএন ও অগ্নিকেই আইএসপি সেবা পরিচালনা করতে হবে।
বিটিআরসির আরো মূল্যায়ন, ২০১৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই ‘কো-অর্ডিনেটেড সার্ভিস’-এর ট্যারিফ অনুমোদন করা হয়। শর্তানুসারে সে অনুমোদনের মেয়াদ ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট শেষ হয়ে গেছে।
সোনালী ব্যাংকের ৫৫১টি স্থাপনায় গো ব্রডব্যান্ড নামের ট্রান্সমিশন সেবা শুধু গ্রামীণফোন কর্তৃক সম্পাদিত চুক্তির আলোকে দেওয়া হয়েছে। তবে এ ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কটি শুধু গো ব্রডব্যান্ডের জন্য করা হয়েছে কি না বা নতুন করে স্থাপন করা হয়েছে কি না অথবা পুরনো নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবহার হয়েছে কি না তা স্পষ্ট না।
এ ছাড়া ‘ইনফ্রাসট্রাকচার শেয়ারিং’ নীতিমালার শর্ত অনুসারে ওই বিষয়ে কোনো অনুমোদনের তথ্য গ্রামীণফোন বিটিআরসিকে জানায়নি। এ ক্ষেত্রে ‘ইনফ্রাসট্রাকচার শেয়ারিং’ নীতিমালা ভঙ্গ করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।
বিটিআরসির দাবি, তারা সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিটি পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে যে শুধু গ্রামীণফোন ওই ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য গো ব্রডব্যান্ড নামে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। গ্রামীণফোনের কোন আইএসপি লাইসেন্স না থাকার কারণে ওই চুক্তি অবৈধ।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৬৯ বার
সর্বশেষ খবর
- মহানগরীর ভিক্ষুক ও হিজড়াদের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবীতে সিসিক মেয়র বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান মঙ্গলবার
- বরইকান্দি মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল ইসলামের বিদায়ী সংবর্ধনা মঙ্গলবার
- একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জাতীয় সম্মেলনে সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার যোগদান
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সিলেট স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিশাল শোভাযাত্রা
- পাত্র সম্প্রদায় কল্যাণ পরিষদ’র উদ্যোগে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
সর্বাধিক পঠিত খবর
- হত্যা না করেও ২৬ জনের উপর হত্যা মামলার করলো আওয়ামী লীগ
- সুনামগঞ্জ জেলায় নির্বাচনী হাওয়া; সরেজমিন প্রতিবেদন
- জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহীন আলী গ্রেফতার; উত্তাল দক্ষিণ সুরমা
- তালাকনামা জালিয়াতির দায়ে বিশ্বনাথে কাজী গ্রেফতার; ৭ জন আসামীর উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী
- কিডনী রোগীদের জরুরী তথ্য কণিকা জানা আবশ্যক