শিরোনামঃ-

» ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব রণজিত দাসের ৮৫তম জন্মদিন আজ শনিবার

প্রকাশিত: ২৮. অক্টোবর. ২০১৬ | শুক্রবার

সিলেট বাংলা নিউজ স্পোর্টস:: জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সিলেটের প্রবীণ ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব রণজিত দাসের ৮৫তম জন্মদিন আজ শনিবার।

এবার জন্মদিনটি ব্যাপকভাবে পালনেরর উদ্যোগ নিয়েছে ফুটবলার রণজিত দাস ৮৫তম জন্মদিন উদযাপন পর্ষদ।

এ উপলক্ষে কেক কাটা, আলোচনা সভা, প্রামণ্যচিত্র প্রদর্শন, ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

নগরীর রিকবাীবাজারস্থ সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের মোহাম্মদ আলী জিমনেসিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানকে সফল করে তুলতে সকল মহলের উপস্থিতি ও সহযোগিতা কামনা করছেন ফুটবলার রণজিত দাস ৮৫তম জন্মদিন উদযাপন পর্ষদের আহবায়ক অ্যাডভোকেট সুপ্রিয় চক্রবর্তী রঞ্জু ও সদস্য সচিব আব্দুর রশিদ রেনু।

এক নজরে রণজিত দাস

সিলেটের জিন্দাবাজারে ১৯৩১ সালের ২৯ অক্টোবর জন্ম নেয়া ছোটখাটো গড়নের ছেলেটি একদিন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম সেরা গোলরক্ষক হয়ে ওঠেন।

৪ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানের জনক রণজিত দাস এখনো ফুটবলের টানে ছুটে যান মাঠে।

সিলেট স্টেডিয়ামে কোন প্রতিযোগিতামূলক খেলা হলেই তিনি হাজির হয়ে যান। হয়তো যতদিন সুস্থ থাকবেন ততদিন ছুটে যাবেন মাঠে। ফুটবল, হকির পাশপাশি তিনি খেলেছেন প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে।

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে নন্দিত এক ফুটবল তারকা রণজিত দাস। বাবা কমলকান্তের প্রেরণায় ১৯৪৯ সালে দি এইডেড হাইস্কুলে পড়ার সময়ই খেলোয়াড় হওয়া শুরু।

এরপর ১৯৫০ সালে স্পোর্টিং ইউনিয়ন ক্লাবে খেলার মাধ্যমে ক্লাব ফুটবলে তার অভিষেক। তারপর ১৯৫২-৫৩ সালে খেলেন মার্চেন্ট ক্লাবে। ১৯৫৪ সালে টাউন ক্লাবে যোগ দেন তিনি। ১৯৫৫ সালে ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাবে খেলার মাধ্যমে ঢাকার মাঠে অভিষেক হয় রণজিত দাসের। সে বছরই পূর্ব পাকিস্তান দলে খেলার সুযোগ পান তিনি।

তারপর পূর্ব পাকিস্তান দলের নিয়মিত খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৫৬ সালে করাচিতে, ১৯৫৭ সালে ঢাকাতে (টিম রানার্স আপ), ১৯৫৮ সালে মুলতানে, ১৯৫৯ সালে হায়দরাবাদে (টিম রানার্স আপ), ১৯৬০ সালে করাচিতে (প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন) অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ফুটবল লিগে অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া চট্টগ্রাম ডিভিশন টিমের হয়ে কায়েদে আযম ট্রফিতে খেলেন ১৯৬১ থেকে ৬৪ সাল পর্যন্ত। তার মধ্যে ১৯৬২-৬৩ সালে টানা ৩ বছর দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। প্রতিবারই ফাইনালে খেলে তার দল।

রণজিত দাসের ঢাকা লীগে অভিষেক হয় ১৯৫৬ সালে আজাদ স্পোর্টিংয়ের মাধ্যমে।

আমন্ত্রিত খেলোয়াড় হিসেবে দলে খেলেন ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত। এই বছর মোহামেডানের অতিথি খেলোয়াড় হিসেবে আই এফ এ শিল্ড কাপে খেলতে যান কলকাতা।

১৯৫৯ সালে আজাদ ছেড়ে মোহামেডানে যান রণজিত দাস। মোহামেডানে যাওয়ার বছরটি তার জন্য অত্যন্ত স্মরণীয়। সেবার স্বাধীনতা কাপ ও আগাখান আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান দলের গোলপোস্ট আগলে রাখেন তিনি। তার অসাধারণ নৈপুণ্যেই এই সাফল্য পায় মোহামেডান।

তাছাড়া ওই বছর ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের (বর্তমান সোনালী ব্যাংক) হয়ে ইন্টার অফিস লিগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আর ন্যাশনাল লীগে রানার্স আপ হয় তার দল।

১৯৬০ সালে আবার পুরনো ক্লাব আজাদে চলে যান এবং খেলোয়াড়ি জীবনের শেষ পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন। উল্লেখ্য যে, ১৯৫৫-৫৯ সাল পর্যন্ত সিলেট জেলা দলের হয়ে খেলছেন তিনি।

রণজিত দাস শুধু ফুটবল খেলতেন না, খেলতেন হকিও। ২০০৭ সালে ফুটবলে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত রণজিত দাস একাধারে ফুটবল ও হকির গোলপোস্টের অতন্দ্র প্রহরী ছিলেন।

১৯৫১ সালে সিলেট এমসি কলেজ টিমে খেলার মাধ্যমে তার হকিতে অভিষেক। ১৯৫৬ সালে ফুটবলের মতো হকিতেও ঢাকার মাঠে তার অভিষেক হয় আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে।

১৯৬৪ সালে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের (বর্তমান সোনালী ব্যাংক) হয়ে প্রথম বারের মতো ন্যাশনাল লিগে খেলেন এবং তার দল চ্যাম্পিয়ন হয়।

একই বছর ইস্ট পাকিস্তান হকি দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান তিনি। খেলেন একাধারে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত। ১৯৬৭-৬৮ সালের মেক্সিকো অলিম্পিকের জন্য গঠিত প্রাথমিক দলে ছিলেন রণজিত দাস।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৫২ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031