শিরোনামঃ-

» সিলেট নগরীর লামাবাজারে নিজ বাসায় জিম্মি সংখ্যালঘু পরিবার

প্রকাশিত: ০৫. অক্টোবর. ২০১৬ | বুধবার

সিলেট বাংলা নিউজঃ সিলেটে সরকারী রাস্তায় ও গেইটে দেয়াল দিয়ে সংখ্যালঘূ পরিবারকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। এব্যাপারে একাধিকবার আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারস্থ হয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না সংংখ্যালঘু পরিবারটি।

অভিযোগে প্রকাশ, নগরীর লামাবাজার ছায়াতরু ২২ ও ২৩নং বাসার মালিক বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট সিলেট মহানগর শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি সুজিত দে। পার্শ্ববর্তী সরকারী খাস খতিয়ানের ৭১ শতক ভূমি জবরদখল করে একাধিক বাড়ি বানিয়েছেন ছায়াতরু ২১নং এর সোলায়মান কবির শাহীন ও তার পরিবার।

তারা পার্শ্ববর্তী সরকারী খতিয়ানের ৩৬২৬ দাগের জনচলাচলের রাস্তাটি জবরদখলে নিয়ে তাতে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান করে।

একপর্যায়ে শাহীন ও তার লোকজন প্রতিবেশী ২২ ও ২৩নং বাসার সংখ্যালঘূ হিন্দু পরিবরকে উচ্ছেদ করতে মরিয়া হয়ে উঠে। গত কয়েকদিন পূর্বে শাহীনরা সুজিত দেব-এর বাসার গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং গেইট-এর সামনে দেয়াল নির্মান করে ওই পরিবারকে জিম্মি করে ফেলে।

3এ ব্যাপারে সুজিত দেব ও তার কেয়ারটেকার হরিদাশ গত ১৯ সেপ্টেম্বর ও ২৮ সেপ্টেম্বর সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় পৃথক সাধারণ ডায়েরী করেন। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্তা-ব্যক্তিরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে সংখ্যালঘূ পরিবারকে উদ্ধার করতে পারছেন না।

বন্দীদশায়ই তাদের দিন-যাপন করতে হচ্ছে এবং সংখ্যালঘুরা বিকল্প পথ দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। জাতীয় হিন্দু মহাজোট নেতা সুজিত দেব তার বাসাবাড়ি রক্ষা ও জনচলাচলের সরকারী রাস্তা উদ্ধারে সরকার এবং প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এদিকে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (রাজস্ব) আশেকুল হক ৩ অক্টোবর এক পত্রে জনচলাচলের ওই রাস্তা উদ্ধারে সিলেটের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সরকারী ওই রাস্তা থেকে সকল প্রকার স্থাপনা অপসারনের জন্য সোলায়মানের পিতা আব্দুস সাত্তারকে চুড়ান্ত নোটিশ দিয়েছেন।

তবে সোলায়মান কবির শাহীন ও তার পিতা আব্দুস সাত্তার সরকারী ভূমি ও সরকারী রাস্তা দখল এবং গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার কথা সম্পূর্ন অস্বীকার করেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৫২ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031