শিরোনামঃ-

» জৈন্তাপুরে জায়গা দখলের চেষ্টায় আটক ৪

প্রকাশিত: ০৯. সেপ্টেম্বর. ২০১৬ | শুক্রবার

সিলেট বাংলা নিউজ জৈন্তাপুর প্রতিনিধি আল মাসুম:: জৈন্তাপুরে জায়গা দখল করতে গিয়ে জনতার হাতে ৪ জন আটক হয়েছেন। পরে আটকৃতদের পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় আটককৃতদের কাছ থেকে দেশীয় বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- প্রায় ২ বছর পূর্বে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর জৈন্তা পাথর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের ২ বারের সভাপতি, নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুখলিছুর রহমান দৌলাকে রাতের আঁধারে ব্রিজের উপর হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পর থেকে জায়গাটিতে কেউ দখলে যায়নি।

শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় নিজপাট ইউনিয়নের পানিহারা হাটির মৃত হাসন আলীর ছেলে দুলাল আহমদের নির্দেশে এবং ফেরিঘাট গ্রামের বাসিন্দা মৃত ওয়াসির আলীর ছেলে মো. শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ফের জায়গাটি দখল করতে গেলে এলাকাবাসী তাদেরকে আটক করে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখেন।

এসময় তাদের কাছ থেকে বটি দা’সহ ছোরা উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করা হয়।

02ঘটনার সংবাদ পেয়ে অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে থানার এসআই শাহেদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ জনতার হাতে আটককৃতদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।

আটককৃতরা হলো- উপজেলার ফেরিঘাট গ্রামের বাসিন্দা মৃত ওয়াসির আলীর ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম (৫৫), ঘিলাতৈল গ্রামের মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে আব্দুল মুতলিব (৫৬), একই গ্রামের আব্দুল মুতলিবের ছেলে সেলিম মিয়া (২৮), সুমন মিয়া (২৪)।

এ বিষয়ে আটক মুতলিব জানান- “নিজপাট পানিহারা হাটি গ্রামের হাছন আলীর ছেলে দুলাল আহমদ কাজের জন্য তাদেরকে শহিদুলের মাধ্যমে ফেরিঘাটে নিয়ে যায়। শহিদের উস্থিতিতে কাজ শুরুর প্রাক্কালে এলাকাবাসী আমাদেরকে আটক করে। মূলত আমরা কাজের জন্য আসি। দেশীয় অস্ত্রগুলো শহিদুলের।

এ বিষয়ে আটক শহিদুল বলেন- “তাদেরকে তিনি কোন কাজে নিয়ে আসেননি। নিজেদের বাঁচাতে তারা আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। আমি শ্বশুরবাড়ি হতে বটি, দা নিয়ে জৈন্তাপুরে যাওয়ার প্রাক্কালে এলাকাবাসী আমাকে আটক করে। তবে শহিদুল বটি, দা ও ছোরা তার বলে জনতার সম্মুখে পুলিশকে জানান।”

এ প্রসঙ্গে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সফিউল কবির বলেন- “আটকের বিষয়টি জানতে পেরে আইনশৃঙ্খলার অবনতি না-ঘটার জন্য আমি ফোর্স পাঠিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করি।

এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে আটককৃতরা আমার থানা হেফাজতে রয়েছে।”

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪১৬ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031