» সিলেট বিভাগের মোট ১১ উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা

প্রকাশিত: ২৯. মে. ২০১৬ | রবিবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ সিলেট বিভাগের ১১ উপজেলায় অনুষ্ঠিত পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যেমন সুবিধা করতে পারেনি; তেমনিভাবে সাফল্যলাভ করতে পারেনি বিএনপিও। মূলত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরাই ‘নৌকা’ ডুবিয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থী না হলে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করত।

রাত ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সর্বশেষ বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ৩৪টি ইউনিয়নে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা ১২টি ইউনিয়নে, বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা ১৩টি ইউনিয়নে, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ৭টি ইউনিয়নে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩টি ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন।

সিলেট জেলার ২টি উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ ২টি উপজেলা হচ্ছে- ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জ। ২টি উপজেলাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমানভাবে অর্থাৎ ৫টি করে ইউনিয়নে জয়ী হয়েছে। ৩টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা এবং ১টি ইউনিয়নে বিএনপির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।

ওসমানীনগরঃ এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে। উপজেলার ৮ ইউনিয়নে বিএনপি ৩, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ৩, বিএনপির বিদ্রোহী ১ এবং আওয়ামী লীগের ১ জন প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার ৮ইউনিয়নের ৭৬টি কেন্দ্রের ৩শ ৪৫টি কক্ষে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে ভোটগ্রহণ চলাকালে দয়ামীর ইউনিয়নের চকের বাজার ভোট কেন্দ্রে জালভোট দিতে গিয়ে পুলিশের আটক হন ৯জন। পরে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

এদিকে, রাত ৯ টার দিক ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওসমানীনগর উপজেলার কুরুয়া বাজার থেকে সাদীপুর পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সমর্থকরা। পরবর্তিতে রাত ১০ টার দিকে মহাসড়ক থেকে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে যান চলাচল স্বাভাভিক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তারা।

উমরপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) গোলাম কিবরিয়া, সাদীপুর ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রব (ধানের শীষ), পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল হাফিজ ওরফে এমএ মতিন (আনারস), বুরুঙ্গা ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী খলেক আহমদ লটই (আনারস), গোয়ালাবাজার ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান মানিক (ঘোড়া), তাজপুর ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইমরান রব্বানী (ধানের শীষ), দয়ামীর ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এসটিএম ফখর উদ্দিন (ধানের শীষ), উছমানপুর ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ময়নুল আজাদ ফারুক (আনারস)।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শওকত আলী ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এমদাদুর রহমান বলেন, দয়ামীর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বড়ধিরারাই মজম্মিল আলীর ডাকবাংলোর ভোট কেন্দ্রের মেম্বার প্রার্থীদের ফলাফল ছাড়া বাকি সবকটি ইউনিয়নের ফলাফল ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে।

বালাগঞ্জঃ এ উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪ টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ২ টিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ তথ্যের নিশ্চিত করেছেন।

বেসরকারী ফলাফলে পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো. আব্দুল মতিন (নৌকা)। তার প্রাপ্ত ভোট ২ হাজার ৯৮। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শেখ নজরুল ইসলাম জিতু (ধানের শিষ) পেয়েছে ২ হাজার ২২ ভোট।

বোয়ালজুড় ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আনহার মিয়া (নৌকা)। তার প্রাপ্ত ভোট ৪ হাজার ৫শ ৮০। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শেখ মো. আলাউদ্দিন রিপন (ধানের শিষ) পেয়েছেন ২ হাজার ৪শ ৭৪ ভোট।

দেওয়ান বাজার ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নাজমুল আলম (ধানের শিষ)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এনায়েতুর রহমান খান রাজু মিয়া (মোটরসাইকেল)।

পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আমিরুল ইসলাম মধু (নৌকা)।

বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মুনিম (ধানের শিষ)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত এমএ মতিন (নৌকা)।

পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিমাংশু রঞ্জন দাস (নৌকা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এম. মুজিবুর রহমান (ধানের শিষ)।

কমলগঞ্জঃ কমলগঞ্জে ৯টি ইউনিয়নেরর মধ্যে ৬টিতে আওয়ামী লীগ, ১টিতে বিএনপি এবং বিএনপির বিদ্রোহী ২টিতে বিজয়ী হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ৯টি ইউনিয়নের ৯৪ টি কেন্দ্রে মোট ৪২৫টি কক্ষে (বুথ) মোট ১৩৬৯ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ভোট গ্রহণ করেন।

বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন রহিমপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপির ছোট ভাই কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ বদরুল (নৌকা), পতনউষার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মো. তওফিক আহমদ বাবু (নৌকা), মুন্সীবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালিব তরফদার (নৌকা), শমশেরনগর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জুয়েল আহমদ (নৌকা), কমলগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুল হান্নান (নৌকা), আলীনগর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফজলুল হক হক বাদশা (নৌকা), আদমপুর ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. আবদাল হোসেন (ধানের শিষ), মাধবপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা পুষ্প কুমার কানু (সিএনজি) ও ইসলামপুর স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মো. আবদুল হান্নান (আনারস) প্রতীক নিয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

শ্রীমঙ্গলঃ শ্রীমঙ্গলে বিএনপির ভরাডুবি হয়েছে। এ উপজেলার সবকটি ইউনিয়নেই পরাজিত হয়েছেন ধানের শিষ নিয়ে ভোটযুদ্ধে নামা প্রার্থীরা। ৯ ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা এবং ৩টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান চৌধুরী, শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নে ভানু লাল রায়, সিন্দুরখান ইউনিয়নে আল হেলাল, আশীদ্রোণ ইউনিয়নে রনেন্দ্র প্রসাদ বর্ধন, কালিঘাট ইউনিয়নে প্রাণেশ গোয়ালা ও রাজঘাট ইউনিয়নে বিজয় বুনার্জী বিজয়ী হয়েছেন।

অপর তিনটি ইউনিয়নে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- ভূনবীর ইউনিয়নে চেরাগ আলী (আনারস), কালাপুর ইউনিয়নে মুজিবুর রহমান মুজুল (আনারস) ও সাতগাঁউ ইউনিয়নে মিলন শীল (আনারস)। এ তিনজনই আওয়ামী লীগ ঘরনার। দলের মনোনয়ন না পেয়ে তারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন।
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি এম,এ আহমদ আজাদ জানান, উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে বেসরকারি হিসাবে আওয়ামী লীগ ৬টি, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ২টি, বিএনপি ১টি, বিএনপির বিদ্রোহী ২টি এবং স্বতন্ত্র ২টি ইউনিয়নে জয়ী হয়েছে।

বিজয়ীরা হলেন বড় ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়নে বিএনপি বিদ্রোহী সত্যজিত দাশ, বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়নে বিএনপি বিদ্রোহী আশিক মিয়া, ইনাতগঞ্জ ইউপিতে স্বতন্ত্র বজলুর রশিদ, দীঘলবাক ইউপিতে আওয়ামী লীগের আবু সাঈদ এওলা মিয়া, আউশকান্দি ইউপিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী মুহিবুর রহমান হারুন, কুর্শি ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলী আহমদ মুসা, করগাঁও ইউপিতে বিএনপির ছাইমুদ্দিন, নবীগঞ্জ সদর ইউপিতে আওয়ামী লীগের সাজু আহমদ চৌধুরী, বাউশা ইউপিতে আওয়ামী লীগের আবু সিদ্দিক, দেবপাড়া ইউপিতে স্বতন্ত্র অ্যাডভোকেট জাবিদ আলী, গজনাই পুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইমদাদুর রহমান মুকুল, কালিয়ার ভাঙ্গা ইউপিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী নজরুল ইসলাম, পানিউমদা ইউপিতে আওয়ামী লীগের ইজাজুর রহমান জয়ী হয়েছেন।

হবিগঞ্জঃ হবিগঞ্জ জেলার ৩১ ইউনিয়নের ১৩টিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ৪, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ৮, বিএনপি বিদ্রোহী ৩ ও স্বতন্ত্র ২টিতে চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন। এর মাঝে মাধবপুরে আওয়ামী লীগ ৪, বিএনপি ২, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ৪, বিএনপি বিদ্রোহী ১, নবীগঞ্জে আওয়ামী লীগ ৬, বিএনপি ১, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ৩, বিএনপি বিদ্রোহী ১, স্বতন্ত্র ২, লাখাইয়ে আওয়ামী লীগ ২, বিএনপি ১, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ১, বিএনপি বিদ্রোহী ১, বানিয়াচংয়ে আওয়ামী লীগ ১। লাখাই উপজেলার বামৈ ইউনিয়নের ফলাফল আওয়ীমীগ বিদ্রোহী এনামুল হক মামুন।

বিজয়ীরা হচ্ছেন- মাধবপুরে বুল্লা ইউপিতে বিএনপির সামছুল ইসলাম মামুন, ধর্মঘর বিএনপি সামছুল ইসলাম কামাল, চৌমুহনী আওয়ামী লীগ মো. আপন মিয়া, ছাতিয়াইন আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী আব্দুস শহীদ, জগদীশপুর আওয়ামী লীগ শফিকুল ইসলাম, নয়াপাড়া বিএনপি বিদ্রোহী সৈয়দ মো. আলমগীর, বহরা আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী আরিফুর রহমান, বাঘাসুরা আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী শাহাব উদ্দিন, শাহজাহানপুর আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী, আন্দিউড়া আওয়ামী লীগ আতিকুর রহমান ও আদাঐর আওয়ামী লীগ ফারুক পাঠান।

নবীগঞ্জে সদর আওয়ামী লীগ সাজু আহমেদ চৌধুরী, আউশকান্দি স্বতন্ত্র মহিবুর রহমান হারুন, বড় ভাকৈর পূর্ব বিএনপি বিদ্রোহী আশিক মিয়া, বড় ভাকৈর পশ্চিম আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী সত্যজিৎ দাশ, করগাঁও বিএনপি ছাইম উদ্দিন, বাউশা আওয়ামী লীগ আবু সিদ্দিক, কালিয়ারভাঙ্গা আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী নজরুল ইসলাম, ইনাতগঞ্জ স্বতন্ত্র ফজলুর রশিদ, দিঘলবাক আওয়ামী লীগ আবু সাইদ এওলা মিয়া, দেবপাড়া আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী জাবেদুর রহমান, পানিউমদা আওয়ামী লীগ ইজাজুর রহমান, কুর্শি আওয়ামী লীগ আলী আহমেদ মুছা ও গজনাইপুর ইমদাদুর রহমান।

লাখাই উপজেলার সদর বিএনপি আরিফুল ইসলাম রুপম, মুড়িয়াউক বিএনপি বিদ্রোহী মলাই মিয়া, করাব আওয়ামী লীগ আব্দুল হাই কামাল, মোড়াকরি আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ফয়ছল মোল্লা, বুল্লা আওয়ামী লীগ মোক্তার হোসেন বেনু ও বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আব্দুল কুদ্দুছ শামীম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

সুনামগঞ্জঃ ৫ম ধাপে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর, শাল্লা ও দিরাই উপজেলার ১৯ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ৭টিতে আওয়ামী লীগ, ৬টিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী, ৩টিতে বিএনপি, ২টি বিএনপি বিদ্রোহী এবং একটিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

শাল্লা উপজেলা : শাল্লা উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে বেসরকারিভাবে দুটিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে বিএনপি এবং একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। উপজেলার শাল্লা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ফুল মিয়া, বাহারা ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থী বিধান চন্দ্র সরকার, হবিবপুর ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থী বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল ও আটগাঁও ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী নোমান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

দিরাইঃ এদিকে, দিরাই উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে বেসরকারিভাবে ৩টিতে আওয়ামী লীগ, দুটিতে আ.লীগ বিদ্রোহী এবং দুটিতে বিএনপি এবং অপর ২টিতে বিএনপি বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী করিমপুর ইউনয়ন আ.লীগের আসাব উদ্দিন সরদার, রাজানগর ইউনয়ন আ.লীগের সৌম্য চৌধুরী, রফিনগর ইউনিয়নে আ.লীগের রেজোয়ান খান, জগদল ইউনিয়নে আ.লীগ বিদ্রোহী শিবলী আহমদ বেগ, ভাটিপাড়া ইউনিয়নে আ.লীগ বিদ্রোহী শাহজাহান কাজী কুলঞ্জ ইউনিয়নে বিএনপির মুজিবুর রহমান, চরনাচর ইউনিয়ন বিএনপির রতন কুমার দাস, সরমঙ্গল ইউনিয়নে বিএনপি বিদ্রোহী এহসান চৌধুরী, ও তাড়ল ইউনিয়ন বিদ্রোহী বিএনপি আব্দুল কদ্দুছ বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

জগন্নাথপুরঃ বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে আ.লীগের বিদ্রোহীদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থীরা।

শনিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। ৬ ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগ মনোনীত ২, আ.লীগের বিদ্রোহী ৩ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১ জন নির্বাচিত হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণ বেসরকারিভাবে বিজয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে-

১নং কলকলিয়া ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলহাজ্ব আব্দুল হাসিম (চশমা) প্রতীকে মোট ৫৯৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী দ্বীপক কান্তি দে দীপাল (নৌকা) প্রতীকে ৪৯৯৮ ভোট পান।

২নং পাটলি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিরাজুল হক (আনারস) প্রতীকে মোট ৫৪০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী আংগুর মিয়া (নৌকা) প্রতীকে ৩৩৬০ ভোট পান।

৫নং চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো.আরশ মিয়া (নৌকা) প্রতীকে ৫৫৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হারুনুর রশীদ (আনারস) প্রতীকে ৫৫০৯ ভোট পান।

৭নং সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তৈয়ব মিয়া কামালী (আনারস) প্রতীকে ৪৩৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবুল হাসান (নৌকা) প্রতীকে ৪৩৩২ ভোট পান।

৮নং আশারকান্দি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহ আবু ইমানী (নৌকা) প্রতীকে ৩৮৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল আহাদ মদরিছ (আনারস) প্রতীকে ৩৭৯৯ ভোট পান।

৯নং পাইলগাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজী মখলুছ মিয়া (ঘোড়া) প্রতীকে ৩১০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মঞ্জুর আলী আফজল (মোটরসাইকেল) প্রতীকে ২৯৪০ ভোট পেয়েছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৬০৩ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930