শিরোনামঃ-

» যে পাতায় ডায়াবেটিস সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব

প্রকাশিত: ০৬. মে. ২০১৬ | শুক্রবার

সিলেট বাংলা নিউজ হেলথ ডেস্কঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সকাল-বিকাল ইনসুলিন কিংবা ট্যাবলেট নেওয়ার যে প্রবণতা তা থেকে অতি সহজেই মুক্ত পাচ্ছেন আপনি।

এবার আপনার ডায়াবেটিস সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করবে বিদেশি ঔষধি গুণসমৃদ্ধ একটি গাছের পাতা। প্রতিদিন খালিপেটে ২টি পাতা সেবনে শতভাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন ডায়াবেটিস ও ব্লাড।

এমনটাই দাবি করছেন চীন এবং সুইজারল্যান্ডের খ্যাতনামা বিজ্ঞানীরা। গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম গাইনূরা প্রোকাম্বেন্স। এটা চীন এবং সুইজারল্যান্ডে স্থানীয়ভাবে ডান্ডালিউয়েন নামেও বেশ পরিচিত।

আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, চীন, মালেশিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বজয়ী এই এন্টি ডায়াবেটিস গাছ এখন পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন এন্টি ডায়াবেটিস এই গাছটির পাতা এবং পাতার রস সেবনে ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ সহনীয় মাত্রায় আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। গাছটির ২টি পাতা প্রতিদিন খালি পেটে সেবনে শুধু সুগার এবং কলস্টেরল নিয়ন্ত্রণই করে না, তরতাজা রাখে কিডনি, লিভার এবং নিয়ন্ত্রণে রাখে ব্লাড প্রেশার।

এছাড়া সুগার স্বাভাবিক মাত্রার তুলনায় আরো কমিয়ে হাইপোগ্লামিয়ার বিপদ থেকেও রক্ষা করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে এই গাছের পাতা। যাদের ডায়াবেটিস, প্রেশার এবং কলস্টেরল সমস্যা আছে, তাদের প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২টি পাতা সেবন করতে হবে।

তবে ইনসুলিন ব্যবহারকারী এবং গ্যাস্ট্রিক আক্রান্তদের ক্ষেত্রে সকালে খালি পেটে ২টি পাতা এবং রাতে শোবার আগে ২টি পাতা সেবন করতে হবে।

চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে, প্রথম ২ মাস ডায়াবেটিসের নিয়মিত ওষুধের পাশাপাশি খালি পেটে ২টি পাতা সেবন করতে হবে। ২ মাস পর থেকে শুধু ২টি করে গাছের পাতা খেলেই চলবে।

এই গাছের পাতা খেয়ে উপকৃত হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর হোসাইন মুহাম্মদ জাকির। তিনি সাংবাদিককে জানান, ‘এটা খুব চমৎকার কাজ করে।’

৭ বছর আগে আমার ডায়াবেটিস ১১ ধরা পড়ে। সুইজারল্যান্ড থেকে এই গাছটি পাবার পর আমি আর কখনও মেডিসিন নেইনি।

মেজর জাকির বলেন, ‘এই গাছের পাতার সাথে রসুন, নিমপাতা, কাঁচা তেঁতুল পেস্ট করে ১ দিন রোদে শুকিয়ে ছোট মার্বেলের মতো অনেকগুলো বল বানিয়ে একটি এয়ার টাইট বোতলে সংরক্ষণ করার পর, প্রতিদিন চিবিয়ে ১টি বা ২টি বল খেয়ে পানি পান করলে কার্যকারিতা আরো ভালো হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘এটা খেয়ে আমার ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।’

এখন আমি কোন রেসট্রিকশন মানিনা, জীবনকে উপভোগ করছি। আমার পরিবারের বয়স্ক সদস্যরাও ইনসুলিন নেয়া বন্ধ করেছে। এই গাছের পাতা হার্টের রোগেও ভাল কাজ করে। মেজর জাকিরের মতো বিশ্বের অনেকেই এখন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এই হার্ব গাছটি সংগ্রহে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ভেষজ ওষধি গুণসম্পন্ন এই গাছটি বেঁচে থাকে ২৫ বছর।

সর্বোচ্চ ৩ ফুট লম্বা হয়। এরপর ডালপালা বিস্তার করে জঙ্গলের মতো হয়ে যায়। তবে এ গাছে সকাল-বিকাল নিয়মিত পানি দিতে হয়। স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ এ গাছের জন্য বেশ উপযোগী।

সর্বনিম্ন ১০ ইঞ্চি টবে গোবরের সার ও মাটি মিশিয়ে চারা রোপণ করতে হবে। বছরে অন্তত ২ বার মিশ্র সার ব্যবহার করতে পারেন। এই গাছটি ঘরের বারান্দায়, বাড়ির ছাদে ও টবে নিশ্চিন্তে লাগাতে পারেন।

তবে সরাসরি মাটিতে এটা বেশ ভালো হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ২টি পাতা সেবন করলে তার কিডনি ও লিভার সতেজ থাকবে।

ডায়াবেটিস, প্রেশার এবং কলস্টেরল সমস্যা তার হবে না। এছাড়া এই পাতা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবেও কাজ করে থাকে। এই গাছের পাতা খেলে ডায়াবেটিস টাইপ-২ কমবে বলে দাবি করা হচ্ছে।

বর্তমানে এটির নামডাক সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। চীনসহ সারা বিশ্বে এটি এন্টি ভাইরাস হিসেবেও খুব পরিচিত।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৫৭ বার

Share Button

Callender

March 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31