শিরোনামঃ-

» কী হয়েছিল ইমরান সরকারের সাথে সাংবাদিক মাকদুসার:: পড়ুন

প্রকাশিত: ০৪. মে. ২০১৬ | বুধবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ যারা অনেক আগে থেকেই মনে মনে ঘৃণা করে নিজস্ব ব্যানারে আন্দোলন চালিয়েছেন বা এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের ও রয়েছে হাজারো কথা, লাখো অভিযোগ। হয়ত একদিন তেমন সময় আসবে যেদিন তারাও আর ইমরান গ্যাং এর গালাগালির ভয়ে চুপ থাকবে না। একে সবাই প্রকাশ করবে পবিত্র মঞ্চের অপবিত্র কিছু জানোয়ারের কাহিনী।

ওখানে এক ইমরান গ্যাং নয় প্রায় শ’ খানেক ছোট বড় সংগঠন কাজ করেছে শুধু দেশকে ভালোবেসে এবং তারা অনেকেই একসময় সব বুঝে শুধু আন্দোলনের স্বার্থেই কাজ করেছে।

তাদের সবার প্রাণের দাবী ছিল যুদ্ধাপরাধীদের ফাসি দেয়া।

তাই সবাইকে ইমরান গ্যাং এর সাথে মিলাবেন না দয়া করে। কারণ আমি বিশ্বাস করি এই বাংলা সহ পৃথিবীতে ভালো মানুষের সংখ্যা এখনো বেশী। তবে নোংরা কিছু ইমরান গ্যাং টাইপ মানুষদের নোংরামোর জন্য প্রকৃত ভালো আন্দোলনকারি সাথীদেরও অনেকে এক কাতারে ভাবতে থাকে।

আমি আবারো বলছি, বারবার বলছি গণজাগরন মঞ্চের সবাইকে এক ভাববেন না, এটা আপনাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ।

৩১/০৩/২০১৩ইং তারিখে যখন ইমরান সংসদে গনসাক্ষরের স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিল, তখন ও হামিদ স্যার রাষ্ট্রপতিই ছিলেন তাই সংসদের স্পীকার এর দায়িত্বে ছিলেন শওকত আলী মহোদয়।

আর তখন যেহেতু ইমরানের সাথে শওকত আলী সাহেবের পরিচয় হয়েছিল এবং তারও আগে এক সন্ধায় শওকত আলী সাহেব তার পরিচালিত সংগঠনের আন্দোলনকারীদের খোঁজ খবর নিতে গণজাগরণ মঞ্চে গিয়েছিলেন।

তখন অবশ্য স্যারের ওখানে যাওয়ার কথাটা আমাকে মঞ্চে জানিয়ে দিতে বলেছিলেন আমিও তার কথা মতোই কাজ করেছি, সেখানে গিয়েও শওকত স্যার আগে মাটিতে বসে আমাদের গনসাক্ষরের কাপড়েই সাইন করেছিলেন এবং পড়ে মঞ্চে গিয়ে তার আন্দোলনের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছিলেন। (এটা ছিল আরো আগের ঘটনা)। তখনি প্রথম মুখোমুখী পরিচয় হয় আমার উপস্থিতিতে।

যাইহোক বলছিলাম ইমরানের সাথে তখনকার ভারপ্রাপ্ত স্পীকার মহোদয়ের সরাসরি পরিচয়ের কথা। এর মধ্যেই একদিন ইমরান ভারপ্রাপ্ত স্পীকার মহোদয়কে ফোন করে বলেছিল ও নাকি সংসদে কি বিশেষ কারণে যেতে চায় তাই পারমিশন লাগবে। যথারীতি তাকে পারমিশন নিয়ে দেওয়া হল।

ইমরান আসবে ভারপ্রাপ্ত স্পীকার মহোদয়ের সাথে কোন জরুরী কথা বলবে শুনে আমি স্পীকার মহোদয়কে অনুরোধ করলাম তিনি যেন অফিসে ইমরান না আশা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।

স্পীকার মহোদয় আমার অনুরোধ রেখে তার জরুরী মিটিং ক্যান্সেল করে গণজাগরণ মঞ্চের তথাকথিত মুখপাত্রর জন্য অপেক্ষা করছেন আমিও সংসদে তখন আমাদের টেলিভিশন রুমেই ছিলাম।

দীর্ঘ ১ ঘণ্টা পার হয়ে গেলো তবু ইমরানের কোন ফোন না পেয়ে যথারীতি আমি এস এম কামরুজ্জামান সাগরকে ফোন দিয়ে বললাম “কিরে তোরা নাকি ইমরান সহ জরুরী কাজের কথা বলতে আসবি কিন্তু এখনো আসতেছিস না কেন?

আমি এদিকে সেই ১ ঘণ্টা ধরে স্পীকার স্যারকে তোদের জন্য অপেক্ষা করাচ্ছি অথচ তোদের ইমরান নিজে আসতে চেয়ে আবার ফোন বন্ধ রেখেছে ঘটনা কি? “তখন সাগর আমায় জানালো ও নিজে ঐ ব্যাপারে কিছুই জানে না কিন্তু পরক্ষনেই সাগর ইমরানকে সংসদে (ভারপ্রাপ্ত) স্পীকার মহোদয়ের অপেক্ষার বিষয়টি জানিয়েছিল।

কিন্তু তখন নাকি ইমরান সাগরকে বলেছিল “বসে থাকলে থাক স্পীকার, আমি আমার সময় মতো ওখানে যাবো”।

ইমরানের ওই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদ করেছিল কামরুজ্জামান সাগর।

কিন্তু তখন ঐ বেয়াদব ইমরান, সাগরের কথার কোন তোয়াক্কা করেনি এবং সেদিন আর সংসদ ভবনে যায়নি। কারণ হয়তো আমি ওখানে আছি বলে কোন নতুন ধান্দার সুযোগ পাবে না ভেবেই নিজে যাওয়া বাদ দিয়েছে।

এরপর ১৬ ডিসেম্বরের ১৮/২০ দিন আগে সেই পূর্ব পরিচয়ের সুত্র ধরেই ইমরান শওকত স্যারকে ফোন করে তার সাথে দেখা করার পারমিশন চাইল। তখন শওকত স্যার আমাকে তার রুমে ডেকে জানালেন ইমরানের ইচ্ছার কথা। আমি শওকত স্যারকে বললাম ঠিক আছে আপনি শুনুন ইমরান কি বলতে চায়।

তিনিও বললেন “ঠিক আছে কিন্তু ওরা যখন আমার অফিসে মানে সংসদে ঢুকবে তুমিও তখন এখানে থেকো”। আমিও সম্মতি জানিয়ে চলে এলাম এর ২ দিন পর শওকত স্যার আমায় ফোন দিয়ে বললেন “তুমি আমার রুমে আসো ইমরানরা সংসদের গেটে চলে এসেছে”।

কিন্তু আমি তখন টেলিভিশনের ১টা প্রোগ্রাম রেকর্ডিং এ গাজীপুরে ছিলাম আমি সেই কথা ফোনেই স্যারকে জানালাম। তখন তিনি একটু রেগে গিয়েই বলেছিলেন কেন তুমি আজই বাইরে গেলে আমি এখন ওদের কি বলবো ইত্যাদি ইত্যাদি।

আমি বুঝতে পারছিলাম স্পীকার মহোদয় একটু ক্ষেপে গেছিলেন আমার উপর, তাই আমি আরও কিছুটা বিনীত ভাবে বলেছিলাম “স্যার ভিজিট শাখায় আপনি পিএস সাহেবকে দিয়ে বলিয়ে ওদের ঢোকার পাশ দিতে বলুন আর ওরা এসে যা বলে আপনি শুধু শুনে রাখবেন”।

সেদিন অবশ্য আমি না থাকার পূর্ণ সুযোগটা ইমরান এইচ বাহিনী নিয়েছিল মানে ওরা শওকত স্যারকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নানা ধরণের ইমোশনাল কথা বলে ১৬ ডিসেম্বরে সংসদ ভবনের দক্ষিন প্লাজা সহ মানিক মিয়া এভিনিউ- এ সোডাউন ও জাতীয় সঙ্গিত পরিবেশনের পারমিশনটা নিয়েই ফেলেছিল।

ওরা বের হয়ে যাওয়ার পর শওকত স্যারই আমায় আবার ফোন দিয়ে কথাটা জানিয়েছিলেন, কিন্তু তার কথায় মনে হচ্ছিলো তিনি পারমিশন দিলেও খুব একটা খুশি মনে দেননি। আর আমি উত্তরে বলেছিলাম আচ্ছা আমি দেখি আরও একটু খোঁজখবর নিয়ে আজ যা হবার হয়ে গেছে আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন।

এর ২ দিন পর থেকে সারা ঢাকা শহরে ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ ভবনে গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশ হবে লিখা ছোট-বড়-মাঝারী বিভিন্ন সাইজের ডিজিটাল পোস্টার।

নরমাল পোস্টার এমন কি পারলে বড় বড় বিলবোর্ড পর্যন্ত পারলে এ্যাড দিয়ে ভঁরে দিতে শুরু করলো।

এর পেছনেও কিন্তু চলল নির্লজ্জ চাঁদাবাজি আর ততদিনে কশাই কাদেরের ফাঁসির অর্ডারটা হয়ে যাওয়ায় খুশী হয়ে ডোনাররাও তখন দিতে থাকলো লক্ষ লক্ষ নগদ টাকা। কোথায় কতো টাকা লাগবে সে খবরও তাঁরা খুশীতে নেওয়ার কথা ভুলে গিয়ে ওদের চাঁদাবাজির ফাঁদে অবলীলায় কখনো স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই টাকা ঢালতে লাগলো।

এদিকে ফাঁসির দিন মোটামুটি আন্দাজ করে প্রকৃত আন্দোলনকারী মানুষগুলো আবার একে একে শাহাবাগ মুখি হতে লাগলো। আর ঠিক সেই সুযোগটা আবারো লুফে নিলো ইমরান বাহিনী।

এদিকে ইমরান বাহিনী সংসদে সমাবেশ সহ জাতীয় সংগীত গাওয়ার প্রচার করে যাচ্ছিলো, আর অন্যদিকে বাংলাদেশ কেন্দ্রিয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাথে আমরা বাংলাদেশ কেন্দ্রিয় মুক্তিযদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এবং অন্যান্য ভালো সংগঠনগুলো তখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ঘোষণা দিলো। সেই প্রথম ভাগ হয়ে গেলো আন্দোলনের সমাবেশস্থল। তবু জোরে সোরেই চলছিল ইমরান বাহিনীর প্রচারণা।

১৬ ডিসেম্বরের ঠিক ৬ দিন আগে হটাৎ সংসদের ডেপুটি সার্জন এট আর্মস আমার নাম্বারে ফোন দিয়ে আমার রিপোর্টের কিছু তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইলো। সঙ্গত কারণেই আমি জাতীয় সংসদের নিরাপত্তা আর সন্মানের কথা মাথায় রেখেই কথাগুলো নিশ্চিত করলাম।

আর তখন অফিস থেকে আমায় বলা হল আমি নিজে যেন ইমরানের সাথে কথা বলে আরও কিছু তথ্য যেনে এবং তারসাথে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে সিদ্ধান্ত ফাইনাল করে সংসদের নিরাপত্তা দপ্তরে জানিয়ে দেই।

অন্যথায় সংসদের সমাবেশ করতে দেওয়ার অর্ডার বাতিলের খবরটা ইমরানকে জানিয়ে দেই। তখন ইমরানের মোবাইল নাম্বার এ নিজে বসে থেকে সংসদের ল্যান্ড ফোন সহ আমার ব্যাক্তিগত মোবাইল নাম্বার থেকে অনেক বার ফোন দিলাম, কিন্তু ইমরান তখনও হিরো ভাবতো নিজেকে তাই সে কোন ফোন ই রিসিভ করেনি।

ঠিক তখনি আমি অরন্য শাকিলকে ফোন দিয়ে ওর ফোনটা ইমরানকে ধরিয়ে দিতে বলেছিলাম কিন্তু অরন্য শাকিল আমায় বলেছিল “আপু আমি ইমরানের সাথে নেই, আমি এখন আছি নীলখেতে”। আমি ওকে বললাম তুমি ইমরানকে বল এক্ষুনি আমার নাম্বারে ফোন ব্যাক কোরতে। তারপর ফোনটা রেখে এস এম কামরুজ্জামান সাগরকে ফোন করলাম কারন তখন পর্যন্ত সাগর গণজাগরণ মঞ্চের একমাত্র কর্মী/সংগঠক যে ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩’র কিছু দিন পরে পর্যন্ত ইমরানদের সাথে কলুর বলদের মতো শ্রম দিয়ে যাচ্ছিলো।

সাগর আমায় বলেছিল ইমরানের ফোনের জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করতে। আর আমিও প্রায় ৩০ মিনিট ওর ফোনের অপেক্ষা করে সংসদকে ফাইনাল ডিসিশন জানিয়ে দিয়ে চিঠি টাইপ করে এস এম কামরুজ্জামান সাগরের নাম ও ফোন নাম্বার দিয়ে গণজাগরণ মঞ্চে সংসদ ভবনের পিওন দিয়ে পারমিশন ক্যান্সেলের সেই চিঠি পাঠিয়ে দিতে পরামর্শ দিলাম।

সংসদ থেকে তাই করা হল, পিওন গিয়ে সাগরকে খুঁজে ওর হাতেই সংসদে ১৬ ডিসেম্বর সমাবেশের পারমিশন বাতিলকরন চিঠিটা দিয়ে এসেছিল।

এবার এই চিঠি পেয়ে ইমরান বাহিনীর টনক নড়ে উঠলো। তাঁরা মরিয়া হয়ে এই মন্ত্রী সেই মন্ত্রীকে ফোন দিয়ে আবার পারমিশন বহালের চেষ্টা কোরতে লাগলো, কিন্তু কেউ ই যখন সংসদের পারমিশনের ব্যাপারে কোন কিছুই করলো না তখন একদিকে ইমরান সাগরকে বলেছিল তখনকার বিভিন্ন মন্ত্রী যাদের সাথে সাগরের পরিচয় আছে তাঁদের সবার কাছে ফোন দিতে।

আবার অন্যদিকে সাগরের সামনেই আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাইকে গালাগালি শুরু করেছিল, আসলে তখন ওদের মাথা নষ্ট ছিল বোধ করি। মাত্র ৬ দিন পর ১৬ ডিসেম্বর সমাবেশের ডাক দিয়ে সারা ঢাকা শহর পোস্টারে ঢেকে দিয়েছে আর শেষ মুহূর্তে জানলো সমাবেশস্থল বাতিল করা হয়েছে। এতো প্রচার সব বাতিল কি করবে, এদিকে বড় কোন যায়গায় এই মুহূর্তে না ঘেঁষতে পারলে জনগণই ধরে মাইর দিবে এসব বুঝে ফেলেছিল। এটা আসলেই একটা বড় ধাক্কা ছিল ঐ গ্রুপের জন্য।

আর এদিকে তো আমরা আগেই সোহরাওয়ার্দী দখল করে রেখেছিলাম। কিন্তু শেষ সময় মানে ১৬ ডিসেম্বর যখন সমস্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তানসহ সব ধরণের লক্ষ লক্ষ মানুষ আগে থেকেই জমা হয়েছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্দ্যানে ঠিক সেই মুহূর্তে সেখানে গিয়ে ঐ মঞ্চ দখল করে নিলো ইমরান বাহিনী।

আর প্রকৃত ভদ্র আন্দোলনকারীরা ততোক্ষণে বিজয় দিবসে কোন রকম ঝামেলা যাতে না হয় তাই ভেবেই ইমরান বাহিনীর হাতে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ ছেড়ে দিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের সন্মান রক্ষা করেছিল। সেটা নিশ্চয়ই আপনারা টেলিভিশনের পর্দায় অথবা সরাসরি থেকে দেখেছিলেন। অবশ্য এর মধ্যে কসাই কাদেরের ফাঁসি নিয়ে নানা টেনশনের পরেও কার্যকর হওয়ায় কেউ ই তখন চাচ্ছিলো না কোন ঝামেলা হোক, অন্তত বিজয় দিবসটা একটা রাজাকারের ফাঁসির আনন্দ নিয়ে উপভোগ করা হোক।

এভাবে পার হল বিজয় দিবস। মাঝখানে কয় দিন ঝিমিয়ে থেকে এলো ২০১৪ এর ৫ ফেব্রুয়ারি গণজাগরণের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উজ্জাপনের বাহানা। এবারও শুরু হল আবার চাঁদাবাজির উৎসব। প্রায় ঠিক ঠাক ভাবেই কামিয়ে নিচ্ছিল ইমরান বাহিনী কিন্তু পাছে বাঁধ সাধল গণজাগরণ মঞ্চের সাথে একযোগে আন্দোলন করা বেশ কিছু সংগঠনের সংগঠক এবং কর্মী/ সমর্থক সহ ইমরান এইচ কে যারা একদিন মুখপাত্র নির্বাচন করেছিল তাঁরা ওর সব সময় সারা বছর জুড়ে সব ধরণের অনৈতিক কাজের কৈফিয়ত চেয়ে বসলো।

অনেকে ১ বছরে ইমরানের বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদাবাজি সহ সব ধরণের টাকার হিসেব দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করতে লাগলো, আসলে কোন ভালো কাজে কিছু খরচ করেছে কি না এসব বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল সেখানে।

আর অন্যদিকে ইমরান ও বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান শেষে সবাই মিলে বসে সংকটের ফয়সালা করবে আশ্বাস দিয়ে বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান পর্বের সাথে শেষ বারের মতো বিশাল অংকের টাকা চাঁদা তুলে নিলো।

কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরই ইমরান বাহিনী তার আসল চেহারা বের করতে শুরু করে দিলো। আজ ছাত্রলীগের পোলাপানের বিরুদ্ধে লাগে, কাল আওয়ামীলীগ নিয়ে আজে বাজে কথাসহ ভাড়া করা কিছু উগ্র পেটোয়া বাহিনী সাথে নিয়ে চলা শুরু করলো। যাকে যেটা না তাই বলে অনেকটা পায় পারা দিয়ে মরিয়া হয়ে উঠলো।

গণজাগরণ মঞ্চের অন্যান্য সংগঠনের সংগঠক/কর্মীদের সাথে ঝগড়া/মারপিট বাধিয়ে পুরোপুরি ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য সব ধরণের ষড়যন্ত্র সহ টেলিভিশনে নানা রকম মিথ্যা. বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া শুরু করছিল।

এই প্লান অনুযায়ী ৩ এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কম্যান্ডের কিছু কর্মীদের উপর সামান্য চেয়ারে বসা নিয়ে কথা কাটাকাটির মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে সম্পূর্ণ অপরিচিত কিছু সন্ত্রাসীকে লেলিয়ে দিয়েছিলো মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কম্যান্ডের উপরে। শুরু হল ২ পক্ষের হাতাহাতি।

এক পর্যায় পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রনের জন্য ২ পক্ষের কর্মীদের ২/৪ ঘা বসিয়ে ২ দল থেকে দু’জনকে থানা হাজতে ভঁরে দিলো। ইমরান কিন্তু তখনো শাহাবাগে ছিল। ওর পেটোয়া বাহিনীর সদস্যকে থানার হাজতে ভরার সাথে সাথে আবার ইমরান সরকার বিরোধী নানা ধরণের উল্টা পাল্টা বক্তব্য বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামেরা ডেকে এনে দিতে লাগলো।

ছাত্রলীগ, আওয়ামীলীগ সহ কোন ছাত্র সংগঠনকেই বাদ রাখল না, যারা ওর কাছে বিগত বছরের সব কিছুর কৈফিয়ত চেয়েছিল। থানায় দু’পক্ষের কেইস ফাইল হল …

আর এদিকে ইমরান দিশেহারা হয়ে প্রায়দিনই বিভিন্ন টকশোতে হাজির থেকে সব ধরণের বানানো গল্প করতে শুরু করলো। এদিকে তখনো যেহেতু ইমরানকে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র পদ থেকে সরানো হয়নি তাই মিডিয়াগুলো এখনো ইমরান ডাকলেই চেষ্টা করে কমবেশি হাজির হতে।

আসলে টেলিভিশন মিডিয়ায় সবসময়ই বিতর্কিত বিষয়গুলোকে হট কেক এর মতো লুফে নিতে চেষ্টা করে কারন, যে আগে যতো বেশী বিতর্কিত সংবাদ সবার আগে দিতে পারবে দর্শক সেই চ্যানেলে ততো ঝুকে পরবে।

এটাই আসলে টেলিভিশন মিডিয়ার ব্যাবসা পলিসি, তাই ওদের তেমন দোষ দিয়ে লাভ নেই এটা আপনিও জানেন আমিও জানি।

এদিকে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন থেকেও ইমরান কে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে নানা রকম বিবৃতি দেওয়া শুরু হল, কিন্তু তার আড়ালে ঢেকে গেলো ইমরান আর তার বাহিনীর বিশাল অংকের অর্থ আত্মসাতের কাহিনী। কেউ আর তাকে সেই প্রশ্ন করতে যেন ভুলেই গেলো, এতোজন মিডিয়ার সামনে এতো কথা বলল তবু কেউ টেলিভিশন মিডিয়ার সামনে একবারও ওর কাছে সব ধরণের অপকর্মসহ টাকার হিসেবটার কথা তুলল না, কেমন যেন ক্যামেরা দেখলেই মানুষগুলো বোকা হয়ে গেলো। এভাবেই চলছিল গনজাগনের মূল ঘটনা প্রবাহ।

এরপর ঘটনাগুলো আপনারা জানেন তাই আর লিখছি না … কিন্তু এখন ইমরানকে মুখপাত্র পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুনভাবে গণজাগরণ মঞ্চ যাত্রা শুরু করেছে।

আমাদের লক্ষ্য আগের মতোই রাজাকার মুক্ত সোনার বাংলাদেশ চাই, সকল যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি চাই। যে ৮ ফেব্রুয়ারি কোটি প্রান জড়ো হয়েছিল গণজাগরণ মঞ্চে। সে জনস্রোত আবার দেখুক বিশ্বের মানুষ।

সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের মতো মুক্তির স্বাদ আমরা নিজেরাই অনুভব করতে চাই অন্তত এ জীবনে একবার …।। আসুন নতুন প্রজন্ম আমরা আর একবার হাল ধরি আমাদের গণজাগরণ মঞ্চের প্রকৃত আন্দোলনের।।

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু …।

লেখিকা: সাংবাদিক মাকদুসা সুলতানা

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৪৮ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031