শিরোনামঃ-

» গোলাপগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে নির্যাতন

প্রকাশিত: ০২. এপ্রিল. ২০২৫ | বুধবার

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

গোলাপগঞ্জে আবু তাহের (১৯) নামের এক যুবককে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। আহত অবস্থায় তাকে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখ এবং ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত রেখে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

আহত আবু তাহের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নলুয়া কান্দিগ্রাম এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে। সে শ্রীরামপুর দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

অভিযোগপত্র ও ভুক্তভোগীর পরিবার সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাত ১২টার দিকে আবু তাহেরকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে পিঠিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা।

এসময় তাকে বিদ্যুতিক শক দিয়ে তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মধ্যরাত পর্যন্ত নির্যাতন চালিয়ে মৃত ভেবে তাকে গাজী বোরহান উদ্দিন সড়কের পাশে ফেলে চলে যায় তারা।

আশংকাজনক অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি করেন।

আবু তাহেরের পিতা আব্দুস সালাম জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে তাকে ধরে নিয়ে নলুয়া কান্দিগ্রাম এলাকার মৃত চেরাগ মিয়ার ছেলে রাহেল আহমদ(২০), একই গ্রামের লায়েক মিয়ার ছেলে সানি আহমদ (২০) ভাদেশ্বর এলাকার ফরহাদ আহমদ (১৯) শাহপরান এলাকার মাহমুদ আহমদসহ (২২) অজ্ঞাত ৫/৬ জন মিলে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়।

তিনি বলেন, আমার ছেলেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে শাহপরান (র.) দাসপাড়া এলাকার একটি খেলার মাঠে নিয়ে নির্মমভাবে পিঠিয়ে আহত করে।

এসময় তারা মোবাইল ফোনে আমাকে কল দিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে আসতে বলার জন্য বলে।

এ কথায় আমার ছেলে রাজি না হলে তাকে একটি ডিভাইস দিয়ে উপর্যুপরি ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। জ্ঞান ফিরলে তারা আমার ছেলের মুখে থুথু ফেলে এবং খাওয়ার জন্য বলে। বাধ্য হয়ে থুথু খাওয়ার পর জোর করে কি একটা জিনিস আমার ছেলেকে খাওয়ায়, এরপরই সে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরবর্তীতে মৃত ভেবে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে যায় তারা।

রাস্তার পাশে দেখে স্থানীয়রা আমাকে খবর দেন এবং তাৎক্ষণিক আমরা তাকে ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে যাই, আমার ছেলে প্রথমে কিছুটা সুস্থ হলেও এখন অবস্থার অবনতি হচ্ছে, বর্তমানে তাকে আইসিউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অঞ্জন শাহা।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ২০১ বার

Share Button

Callender

April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930