শিরোনামঃ-

» চা শ্রমিক সংঘ সিলেট জেলা কমিটির সভায় বক্তারা

প্রকাশিত: ২১. মার্চ. ২০২৫ | শুক্রবার

বড়জান, লাক্কাতুরা সহ সকল বাগানের শ্রমিকদের মজুরি, রেশন ও বোনাস প্রদান করতে হবে

নিউজ ডেস্কঃ
শুক্রবার (২১ মার্চ’২৫) সকাল ১১টায় সুরমা মার্কেটস্থ কার্যালয়ে চা শ্রমিক সংঘ সিলেট জেলা কমিটির সভা জেলা সহ-সভাপতি কমলা বেগমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক দর্পণ নায়েকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটির যুগ্ন সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়া, শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি মো. খোকন আহমদ, চা শ্রমিক সংঘ সিলেট জেলা কমিটির সহ-সভাপতি কাঞ্চন কর্মকার, সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ মনি দাস, প্রচার সম্পাদক বাবু মুন্ডা, কোষাধ্যক্ষ আল আমিন, সদস্য সুমনসহ প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সিলেট বিভাগের সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার এনটিসির ১২টি চা-বাগানের শ্রমিক পরিবার সহ অধিকাংশ বাগানের শ্রমিক পরিবারে আজ নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে।

বাংলাদেশে শিল্প সেক্টরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম মজুরি পেয়ে থাকেন চা-শ্রমিকরা। নিম্নতম মজুরি বোর্ড কর্তৃক ঘোষিত ৪৪টি সেক্টরে এবং মজুরি কমিশন ঘোষিত রাষ্ট্রাযাত্ব শিল্প সেক্টরের মজুরির সাথে তুলনা করলে চা-শ্রমিকদের মজুরি অত্যন্ত কম। ব

র্তমান দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্দ্ধগতির সময়ে দৈনিক মাত্র ১৭৮.৫০ টাকা মজুরিতে এমনিতেই চা-শ্রমিকদের অর্ধাহার-অনাহারে কাটাতে হয়। তার উপর গত কয়েক মাস থেকে  অনেক  বাগানে শ্রমিকদের মজুরি ও রেশন নিয়মিত  দেওয়া হচ্ছে না।

এ অবস্থায়  শ্রমিকরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে নিদারুন দুঃখ কষ্টে দিনানিপাত করতে বাধ্য হচ্ছে।

চা শ্রমিকদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ফাগুয়া উপলক্ষে অনেক বাগানে  উৎসব বোনাস দেওয়া হয়নি। গুটিকয়েক বাগানে দেওয়া হয়েছে তাও অর্ধেক।

চা-শ্রমিক সংঘের নেতারা অবিলম্বে সকল চা ও রাবার শ্রমিকদের পূর্ণ বোনাস হিসেবে ৩,৭১২.৮০ টাকা প্রদান এবং যে সকল চা-বাগানে মজুরি বকেয়া আছে তা অবিলম্বে পরিশোধ করার দাবি জানান।

এছাড়াও চা-শ্রমিকনেতারা সুস্থভাবে বেঁচে থাকা ও উৎপাদনে সক্রিয় থাকার প্রয়োজনে বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে ৬ সদস্যের পরিবারে ভরণ পোষণের খরচ হিসাব করে ২০২৩-২০২৪ মেয়াদের জন্য নিম্নতম মজুরি নির্ধারণ এবং একটি পরিবারের সাপ্তাহিক প্রয়োজনের অনুপাতে চাল, আটা, ডাল, তেল, চিনি, সাবান, চা-পাতা সহ পূর্ণ রেশন প্রদান, ভূমির অধিকার প্রদান, চা-শিল্পে নৈমিত্তিক ছুটি (বছরে ১০ দিন) কার্যকর ও অর্জিত ছুটি প্রদানে বৈষম্যসহ শ্রম আইনের বৈষম্য নিরসন করে গণতান্ত্রিক শ্রমআইন প্রণয়ন এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মজুরি ও উৎসব বোনাস প্রদানে সকল অনিয়ম বন্ধ, শ্রমআইন মোতাবেক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিস বুক প্রদান, বকেয়া মজুরি সহ নিয়মিত সকল চা-বাগানের শ্রমিকদের মজুরি-রেশন পরিশোধ, প্রতি মাসের পিএফ চাঁদা ফান্ড অফিসে জমা প্রদান এবং ৯০ দিন কাজ করলেই সকল শ্রমিককে স্থায়ী করার দাবি জানান।

অন্যথায় চা-শ্রমিকরা বেঁচে থাকার তাগিয়ে ২০২২ সালের আগষ্ট মাসের আন্দোলনের শিক্ষা থেকে নতুন করে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে বাধ্য হবে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১২৭ বার

Share Button

Callender

April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930