শিরোনামঃ-

» ৫ম দিনে নানা আয়োজনে জমজমাট কেমুসাস বইমেলা

প্রকাশিত: ০৫. ডিসেম্বর. ২০২৩ | মঙ্গলবার

ডেস্ক নিউজঃ
ছড়াপাঠ, আবৃত্তি প্রতিযোগীতা আর প্রকাশনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জমজমাট ছিল ৫ম দিনের কেমুসাস বইমেলা।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে দলে দলে মেলা মাঠে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি লক্ষ করনা গেছে। কেউ বই কিনছেন, কেউবা স্টলের সামনে দাঁড়িয়েই চোখ বুলাচ্ছেন বইয়ের পাতায়। অনেক সময় পছন্দ হলে কিনছেন পছন্দের বইটি।
কেউবা সেলফি তুলছেন। ফটো তুলছেন প্রিয়জনদের সঙ্গে। এই ছিল মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) কেমুসাস বইমেলার চিত্র। মেলা শুরুর প্রথম চারদিন লেখক স্টল ফাঁকা থাকলেও ৫ম দিনে লেখক স্টলে সিলেটের অনেক নবীন ও প্রবীণ ছড়াকারদের বসতে দেখা গেছে।
স্টলে খোশ গল্পে মেতেছিলেন সকলেই। মেলা মাঠে থাকা চা স্টল লেখকদের আড্ডাকে আরও জমিয়ে তোলে।

এদিকে বইমেলা প্রাঙ্গণে বিকেল ৪টায় মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘ক’ গ্রুপের আবৃত্তি প্রতিযোগীতা। প্রতিযোগীতায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০ জন প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করেন। বইমেলা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক অধ্যক্ষ সাইফুল করিম চৌধুরী হায়াতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট সাহিত্যিক জামান মাহবুব। অভিভাবকদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন  কাওসারুজ্জামান।

প্রতিযোগীতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আবৃত্তি প্রশিক্ষক বিমল কর ও অমিত ত্রিবেদি। পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কবি কামাল আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামান মাহবুব বলেন, ‘বইয়ের বিকল্প বই। এটি এমন একটি মাধ্যম যা আমাদের মনকে বিকশিত করে, জ্ঞান সমৃদ্ধ আর হৃদয়কে করে পরিপূর্ণ।’ সভ্যতার ক্রমবিকাশে ও মানুষের চিন্তনের ক্ষেত্রে বই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ সাইফুল করিম চৌধুরী হায়াত বলেন, ‘আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন করেছি। আমরাই একমাত্র জাতি নিজের মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য রক্ত দিয়েছি। পৃথিবীর আর কোনো জাতি নিজের মায়ের ভাষার জন্য রক্ত দেয়নি।’ বিজয়ের মাসে এই বইমেলা আরও গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বইমেলা বাঙালির সার্বজনীন উৎসব। লেখক, প্রকাশক আর পাঠকের মিলনমেলা। এই মেলাকে কেন্দ্র করেই প্রকাশিত হয় শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ সৃজনশীল বই। একটি জাতিগোষ্ঠীর সভ্যতা বিনির্মাণ ও জ্ঞানগত উন্নয়নে বইমেলা ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

বইমেলার মাঠে কথা হয় কেমুসাস বইমেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরীর সাথে। তিনি জানান, বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে শুরু হওয়া এবারের মেলা চলবে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নতুন প্রজন্মকে মেলামুখী করার লক্ষে প্রথম দিন থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে এবং প্রতিযোগীতামূলক এইসব কর্মসূচীতে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

তিনি বলেন, আমরা মেলায় দর্শনার্থীর কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিদিন ব্যাপক কর্মসূচীর আয়োজন করেছি। সবকিছু মিলে একটি সমৃদ্ধ আয়োজনের মধ্য দিয়ে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই মেলার মূল লক্ষ। বিশেষ করে দেশের স্বনামধন্য প্রকাশনা সংস্থার প্রকাশিত বইগুলো সংগ্রহ করার সুযোগ পেয়ে সকলেই পাঠমুখী হবেন।

এবারের বইমেলাটি সাহিত্য সংসদের সাবেক সভাপতি দেওয়ান ফরিদ গাজীর স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে। দরগাগেইটস্থ সংসদ চত্বরে আয়োজিত বইমেলা প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৭১ বার

Share Button

Callender

July 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031