শিরোনামঃ-

» বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির বন্যাকালীন ও বন্যাপরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম পর্যালোচনা সভা

প্রকাশিত: ২৩. জুন. ২০২৩ | শুক্রবার

বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগ লাগবে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যক্রম একটি সফল কার্যক্রম : অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব নূর-উর রহমান

ডেস্ক নিউজঃ

বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব নূর-উর রহমান বলেছেন, বন্যার্ত মানুষের কল্যাণে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যক্রম একটি সফল কার্যক্রম। ২০২২ সালে বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগ লাগবে এ কার্য্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এর মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষ উপকৃত হবে, জীবন মান উন্নয়নে প্রকল্পটি একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে। এজন্যে এ প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই ধন্যবাদ পাবার দাবীদার।

বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে ২০২২ সালের বন্যাকালীন ও সিলেট সুনামগঞ্জে বন্যাপরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

শুক্রবার (২৩ জুন) নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে ২০২২ সালের বন্যাকালীন ও বন্যাপরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদ সদস্য মস্তাক আহমদ পলাশ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী সফিকুল আজম ও বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদ সদস্য রাজিয়া সুলতানা লুনা, যুব ও সেচ্ছাসেবক বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার,লজিস্টিক বিভাগের পরিচালক লুতফুর রহমান, অর্থ বিভাগের পরিচালক মঈনুল ইসলাম , হাসিবুল বারি রাজিব ।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ঢাকা’র উপ পরিচালক নুরুল আমিন এর পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক মিজানুর রহমান, হাসিবুল বারী রাজিব, সিলেট ইউনিটের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, সুনামগঞ্জের সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান পীর, হবিগঞ্জের সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, সিলেটের উপ পরিচালক কাজী জানে আলম যুব প্রধান পলাশ গুন সহ সিলেট ইউনিটের যুব স্বেচ্ছাসেবীবৃন্দ।

সিলেট ও সুনামগঞ্জে ২০২২ সালের বন্যা পরবর্তী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে ১ হাজার ২শত পরিবারকে ঘর তৈরী ও ল্যাট্রিন, ৬১৯টি পরিবারকে জীবিকা নির্বাহের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে প্রদান, তাছাড়া ৩৫ জন প্রতিবন্ধীকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করা হয়। তাছাড়া ১০টি টিউবওয়েল, ১হাজার পরিবারকে ডিগনিটি কিটস, ১ হাজার ২১৯ পরিবারকে চারা গাছ, ১ হাজার ২০০ পরিবারকে হাইজিন পার্সেল ও সেলটার টুল কিডস, ও ২৫৩ জন কে ছাতা প্রদান করা হয়।

পর্যালোচনা সভায় জানানো হয় ২০২২ সালের বন্যায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ৯০ হাজার ৭ শত ৫০টি পরিবারকে ৪ হাজার ৫ শত টাকা করে প্রদান করা হয়, ১ লক্ষ ৭৫ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি, ১ লক্ষ ৬৪ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা,১০ হাজার বিছানার ম্যাট,৩৯ হাজার ৯০টি পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট, ৬০ হাজার ৭৫০ প্যাকেট বীজ, ৫ শত ভলান্টিয়ার ও কর্মকর্তাকে মোবিলাইজড করা হয়েছে, ৫ হাজার বালতি, ১৪২টি পরিবারকে ডিগনিটি কিট, জরুরী ভিত্তিতে ১ শত লেন্ট্রিন, ১ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষকে হাইজিন সম্পর্কে অবগত ও ২০ হাজার মানুষকে হাইজিন পার্শেল সরবাহ করা হয়, ৫ হাজার ৫ শত ৮০টি জেরিক্যান ১৯ হাজার ৫শ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা, ৩ শত ওয়াটার পয়েন্ট বিশুদ্ধ পানির জন্য প্রদান করা হয়।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১২৭ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930