শিরোনামঃ-

» একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত: ১৩. ফেব্রুয়ারি. ২০২৩ | সোমবার

শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই রাজাকারদের বিচার হচ্ছে : শফিকুর রহমান চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে যিনি শক্তি যুগিয়েছেন, সহায়তা করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই রাজাকার আলবদরদের বিচার হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় আছেন বলেই মুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রীয় সম্মান পাচ্ছেন। তাঁদের ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, তারা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পাচ্ছেন। দেশে বড় বড় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হচ্ছে। দেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। আর জামায়াত-বিএনপি সরকারের সময়ে মানুষ মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিতে ভয় পেতেন। মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে অপদস্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আমি একাত্তরের গণকবরগুলো সংরক্ষণ করে স্মৃতিফলক লাগিয়েছি। তখন নানাভাবে আমাকে এসব কাজে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমি বলেছি একাত্তরের চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে এবং একাত্তরের ঘাতক দালালদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্যই আমি এমপি হয়েছি।

তিনি সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি সিলেটের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক তাজুল মোহাম্মদ ও কানাডা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মুহিবুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াহ ইয়া আহমদ এর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামসুল ইসলামের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির হাল ধরেছেন। শেখ হাসিনা দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধা, পেশাজীবীসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে এক করেছেন বলেই তিনি টানা তিন বার আনপ্যারালাল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই অপ্রতিরোধ্য গতিতে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। তিনি গ্রামকে শহরে পরিণত করছেন।

মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক তাজুল মোহাম্মদ বলেন, সিলেট আমার স্মৃতির শহর। মুক্তিযুদ্ধের গবেষনার জন্য আমি হারিয়েছি অনেক কিছু, পেয়েছি এর চেয়েও বেশি। মুক্তিযুদ্ধে অনেকেই নানাভাবে অবদান রেখেছেন। তাঁদের অবদান মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ে কম নয়।

একাত্তরে পাকি বাহিনীর নির্মমতাই আমাকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে গবেষণার প্রেরণা জোগিয়েছিলো। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এখনো হারিয়ে যায়নি। এই চেতনা আমাদের এখনো বুথা হয়ে যায় নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের নতুন প্রজন্মের মধ্যে এখনো আছে। যতদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বেঁচে থাকবে ততদিন জয় বাংলা ও বঙ্গবন্ধু মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।

প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক তাজুল মোহাম্মদ, কানাডা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াহ ইয়া আহমদ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র।

বক্তব্য রাখেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি সিলেটের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (১ম) ছামির মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোজ কপালী মিন্টু, মনোরঞ্জন তালুকদার, তৈমুন্নেছা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কবির আহমদ বাবর, এডভোকেট মোস্তফা দিলওয়ার আল আজহার, এডভোকেট ইমরুল হাসান শিরু, বীর মুক্তিযোদ্ধা পান্না লাল রায়, মো: মোয়াজ্জেম হোসেন পারভেজ, মিঠু তালুকদার, এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, তুহিন চৌধুরী, সেলু মিয়া, আখলাক হোসেন, এজাজ আহমদ, কয়েছ আহমদ, সাংবাদিক মুন্না, সৈয়দ মোজাক্কর হোসেন, শেখ সুহেল আহমদ কবির, নুরুল হুদা চৌধুরী কয়েছ, ধ্রুব জ্যোতি দাস গৌতম, রেজওয়ান আহমদ রাজু, আব্দুল কাইয়ুম জুয়েল, মো: তজম্মুল হোসেন, ফয়ছল কাদের পাওয়াল প্রমুখ।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১৪৩ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930