শিরোনামঃ-

» চেয়ারম্যান সাজ্জাদের বিরুদ্ধে মহিলার পরিবারকে হয়রানী ও পঞ্চায়েত থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০২. জুন. ২০২২ | বৃহস্পতিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৪নং ইছাকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন সাজু’র বিরুদ্ধে নীরহ গরীব অসহায় পরিবারকে হয়রানী ও পঞ্চায়েত থেকে বাদ দিয়ে নির্যাতন এবং নিপীড়নের অভিযোগ।

এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২ জুন) সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পৃথক অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার ইছাকলস ইউনিয়নের টুকেরগাঁও গ্রামের রহমত আলীর স্ত্রী মোছা. গেদনি বেগম।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আমি হতদরিদ্র, আইন মান্যকারী শান্তি প্রিয় মানুষ। আমি পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে বসবাস করে আসছি। কিন্তু কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৪নং ইছাকলস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন সাজু আমাকে প্রতিনিয়ত হয়রানী করছেন। একই গ্রামের সাজ্জাদ চেয়ারম্যানের বাহিনী লোকজন সমছুল হকের ছেলে সুহেল মিয়া (৩৫), রুমেল মিয়া (২৫), নুরুল হক’র ছেলে রজই মিয়া (৪০), নিজাম উদ্দিন (৫০), মখলিছ আলীর ছেলে মুছলিম আলী, রইছ আলীর ছেলে রিয়াজ উদ্দিন, গৌছ উদ্দিন গংদের অন্যভাবে ব্যবহার করে আমাকে ও আমার ছেলে-মেয়েকে হয়রানী করছে চেয়ারম্যান বাহিনী। আমার বিবাহের উপযোক্ত মেয়েকে নিয়ে বিপাকে আছি। কারণ সমছুল হকের ছেলে সুহেল মিয়া (৩৫), রুমেল মিয়া (২৫) যেকান সময় আমার পরিবারের ক্ষতি করতে পারে। বিগত কিছুদিন পূর্বে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে সুহলে-রুমেল গংরা বিএনপি সমর্থিত হওয়ার কারণে সাজ্জাদ চেয়ারম্যান সাহেবকে ভোট প্রদান করেন। কিন্তু আমার পরিবার চেয়ারম্যান সাহেবকে ভোট দেয়নি। সেই কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান সাহেব গ্রাম্য রাজনীতির মাধ্যমে আমার পরিবারকে হয়রানী করে আসছেন। আমার প্রতিবেশী সুহলে-রুমেল গংরা প্রভাবশালী তারা কিছু দিন পরপর আমাদের উপর নির্যাতন নিপীড়ন চালায়। যাতে আমরা তাদের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাই। আর তারা আমাদের ভিটে-বাড়ি দখল করে নিতে পারেন। সুহলে-রুমেল গংদের ব্যবহার করে আমাকে প্রাচীন প্রথা অবলম্বন করে পঞ্চায়তের বাদ দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে চেয়ারম্যান সাহেব নির্যাতন শুরু করেন। এই সকল বিষয়ে গত ৮ এপ্রিল কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করলে থানা পুলিশের সহযোগিতায় আমি এলাকায় কিছুটা চলাফেরা করতে পারছি। কিন্তু তাদের নির্যাতন কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। আর এই সকল কিছুর মদদ দিয়ে আসছেন সাজ্জাদ চেয়ারম্যান সাহেব। তারপরও আমি বার বার আমার পরিবারের উপর নির্যাতন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ নিয়ে চেয়ারম্যান সাহেবের বাড়িতে যাই। কিন্তু চেয়ারম্যান সাহেব বিভিন্ন কৌশলে আমার বিষয়টি আমলে না নিয়ে নানা ধরনের কৌশলী কথাবার্তা বলে আমাকে তাড়িয়ে দেন। এমনকি আমার এলাকার সকল লোকদের ভয়ভীতি ও অর্থের বিনিময়ে চেয়ারম্যান এবং তার প্রভাবশালী চক্র তাদের পক্ষে নিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে যদি আমার পাশের গ্রামের লোকদের জিজ্ঞাসা করেন তা হলে সকল সত্যতা বেরিয়ে আসবে। এমতবস্থায় আমি চরম দুঃখ কষ্টের মধ্যে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। এক দিকে বন্যা দূর্যোগ অন্য দিকে চেয়ারম্যান সাহেবের বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন। আমি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। এখন আমার পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে আসা ছাড়া আর কোন পথ নেই। তাই আমি বাধ্য হয়ে আপনাদের স্মরন্নাপর্ণ হয়েছি। আপনাদের সার্বিক সহযোগিতায় যদি আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে বাড়িতে বসবাস করতে পারি তা হলে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।

তিনি অনুরোধ জানান বিষয়টি আমলে নিয়ে আশেপাশের গ্রামের লোকদের জিজ্ঞাসা করে তদন্ত সাপেক্ষে চেয়ারম্যান ও তার বাহিনীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের।

এই বিষয়ে মিমাংসার জন্য পাশের গ্রাম মুত্তিরগাঁও অরিশপুর গ্রামের কালা মিয়ার পুত্র মুরব্বী বতুল্লা জানান, বিষয়টি মিমাংসার জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। সাজ্জাদ চেয়ারম্যান সমাধানের কোন সুযোগ না দিয়ে একটি পক্ষকে নিয়ে মহিলার উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্যাতনের অনেক দৃশ্য আমি নিজ চোখে দেখেছি।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১০০ বার

Share Button

Callender

June 2023
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930