শিরোনামঃ-

» ফাঁস হওয়া কথিত প্রশ্নপত্রের সাথে প্রকৃত প্রশ্নপত্রের মিল নেই!

প্রকাশিত: ০৪. ফেব্রুয়ারি. ২০১৮ | রবিবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় একটি কেন্দ্রে একাধিক পরীক্ষার্থীকে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ‘ফাঁস’ হওয়া কথিত প্রশ্নপত্রে দিয়েছিলেন অভিভাবকেরা। সে অনুযায়ী এমসিকিউ অংশের পরীক্ষাও দেয় তারা। কিন্তু পরীক্ষা শেষে তারা জানল, ওই প্রশ্নপত্র মূল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মেলেনি।

এরপর অভিভাবকেরা আবারও ছুটে যান কেন্দ্রে। তাঁরা সেখানে গিয়ে আবারও এমসিকিউ অংশের উত্তর দেওয়ার সুযোগ দিতে চাপ দেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তাঁদের ওই অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি হননি।

অভিযোগ উঠে স্থানীয় এক সাংবাদিক এ ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন। তাঁর মেয়েও এমন একজন পরীক্ষার্থী।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ছিল বাংলা দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা। স্থানীয় সূত্র ও পরীক্ষার কেন্দ্রের দায়িত্ব পালনকারী একাধিক শিক্ষক বলেন, ইসলামি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম শিকদার এই ঘটনাটি স্বীকার করে সাংবাদিককে বলেন, একজন নয়, কিছু অভিভাবক তাদের সন্তানদের নকলের সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তা না মেলায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তারা পুনরায় সেই উত্তরপত্র দেওয়ার সুযোগ চান। কিন্তু তিনি সেই সুযোগ দেননি।

অভিযোগ ওঠে, ওই সব অভিভাবক পরীক্ষার আগেই এমসিকিউ অংশের একটি প্রশ্নপত্র আগেই সংগ্রহ করেন। সেই প্রশ্নপত্র অনুযায়ী, ৩০ নম্বরের এমসিকিউ অংশের উত্তর কেন্দ্রের বাইরে থেকে লিখে নির্ধারিত পরীক্ষার্থীকে দেন। পরীক্ষার্থীরা মূল প্রশ্নপত্র অনুসরণ না করে বাইরে থেকে পাঠানো উত্তর অনুসরণ করে এমসিকিউ অংশের উত্তর পত্রের বৃত্ত ভরাট করে। পরীক্ষা শেষে বাড়ি গিয়ে দেখতে পায় ফাঁস করা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মিল নেই। পরে ওই সাংবাদিকসহ কয়েকজন পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম শিকদারের কাছে ওই উত্তরপত্র পুনরায় ভরাট করার সুযোগ দাবি করেন। কিন্তু নুরুল ইসলাম শিকদার উত্তর পত্র না দিয়ে অভিভাবকদের বলেন, উত্তরপত্র সিলগালা করা হয়ে গেছে। এ সময় ওইসব অভিভাবকেরা হট্টগোল করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মুঠোফোনে ফোন করলেও তিনি তা ধরেননি।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৯৮ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930