শিরোনামঃ-

» লিডিং ইউনিভার্সিটি শাস্তির তালিকায় পড়ার সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ২৬. জানুয়ারি. ২০১৭ | বৃহস্পতিবার

ডেস্ক সংবাদ:: শাস্তির মুখে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটি। এ প্রতিষ্ঠানটির মালিক শিল্পপতি রাগীব আলী। সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘনের দায়ে প্রতিষ্ঠানটি শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘনের দায়ে তিন ধরনের শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছে ৩৯ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে দু’টির শিক্ষার্থী ভর্তি ও ৩৪টির নতুন কোর্স কারিকুলাম অনুমোদন বন্ধ এবং ৩টির শিক্ষার্থী ভর্তিতে ‘সতর্কতা’ জারির চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকার এক বছর আগে ‘স্থায়ী’ ক্যাম্পাসে যাওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছিল।

জানা যায়, ৩ ক্যাটাগরির ৩৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে গত বছরের জানুয়ারিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলটিমেটাম দেয়া হয়। পাশাপাশি এক বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না গেলে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধসহ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছিল।

সূত্র জানায়, তিন ক্যাটাগরির বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি হচ্ছে, যেগুলো জমি কেনেনি। গত বছরের ২৪ জানুয়ারি এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে আলটিমেটাম দেয়া হয়েছিল। সে সময়সীমা শেষ হয়েছে। তখন প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারলে তাদের শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে দেয়া হবে। জমি কিনেছে এবং তাতে ভবন নির্মাণাধীন এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে রাখা হয়। এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়কে গত বছরের ১৯ জানুয়ারি সতর্কপত্র পাঠানো হয়। সে সীমাও ইতিমধ্যে পার হয়েছে। এগুলোকে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেয়া হয়েছিল। তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ছিল, জমি কিনেছে কিন্তু ভবনের কাজ শুরু করেনি। ভবনের নকশা অনুমোদনসহ অন্য কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়।

গত বছরের ১৪ জানুয়ারি এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়কে নোটিশ দেয়া হয়। এক বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারলে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের পাশাপাশি আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি ছিল এতে। এর আগে এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও চার দফায় আলটিমেটাম দিয়েছিল সরকার। পঞ্চম দফায় দেয়া আলটিমেটাম শেষ হচ্ছে এখন।

জানা যায়, সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটি দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে পড়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জমি কিনেছে এবং ভবন নির্মাণ করছে। তবে এই দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে পড়েছে দেশের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এই ক্যাটাগরিতে ৩ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে ১০টির নির্মাণকাজ চলছে।

পাশাপাশি এগুলো শিক্ষা কার্যক্রমও স্থায়ী ক্যাম্পাসে কিছুটা স্থানান্তর করেছে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি স্থানান্তর করতে না পারায় লিডিং ইউনিভার্সিটিসহ বাকি ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্স কারিকুলাম বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এক বছর আগে আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে বলেছি। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেই সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী শাস্তির আগাম বার্তা দিয়ে তখন চিঠি দেয়া হয়। সুতরাং, নিজেদের দেয়া সময়সীমা যারা মানেননি, তারা চিঠিতে উল্লিখিত শাস্তির মুখোমুখি হবেন।’

(প্রতিবেদন তৈরীতে দৈনিক যুগান্তর’র তথ্যের সহায়তা নেওয়া হয়েছে।)

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৯২ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031