শিরোনামঃ-

» পাসপোর্টের মেয়াদ হচ্ছে ১০ বছর, উঠে যাচ্ছে সত্যায়নের ঝামেলা

প্রকাশিত: ২০. অক্টোবর. ২০১৬ | বৃহস্পতিবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ আগামীতে পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর হচ্ছে। সেই সঙ্গে উঠে যাচ্ছে পাসপোর্টের সত্যায়ন। যে সত্যায়ন নিয়েই সাধারণ লোকজন পাসপোর্ট করতে এসে ভোগান্তিতে পড়েন।

এ রকম একটি প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। সেটি খুব শিগগিরই মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব আকারে উত্থাপন করার কথা রয়েছে। মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবটি পাস হলেই তা কার্যকর হবে।

১৬ অক্টোবর পাসপোর্ট ও বহিরাগমন অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বর্তমান পাসপোর্টের মেয়াদ ৫ বছর। যা খুবই অল্প সময় মনে করা হচ্ছে। যারা পাসপোর্ট নিয়েছেন, তারা পুনরায় রি-ইস্যু করতে আসেন।

তাই পাসপোর্টের বর্তমান মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ বছর করা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব এ বছরের মাঝামাঝিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

সেইসঙ্গে পাসপোর্টে যে সত্যায়ন করা হয় সেটিও তুলে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করে প্রস্তাবটি গ্রহণ করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাসের জন্য পাঠায়। আইন মন্ত্রণালয় সেটি এখন যাচাই-বাছাই করছে।

এ ব্যাপারে পাসপোর্টের মহাপরিচালক বলেন, সত্যায়নকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্টদের পকেটের টাকা হাতিয়ে নেয় এক শ্রেণির দালাল চক্র। চক্রটি অফিসের সামনে ঘুরে বেড়ায়। কোন ব্যক্তি এলেই তাকে প্রস্তাব দেয় সিল যেখানে লাগে তারা করে দেবে। বিনিময়ে একেক জনের কাছে একেক রকম টাকা দাবি করে তারা। লোকজনেরও দরকার, বিধায় তারা সত্যায়নের জন্য টাকা প্রদান করছেন।

কিন্তু সত্যায়ন উঠে গেলে ব্যাগে সিল নিয়ে পাসপোর্ট অফিসের সামনে আর ঘোরাঘুরি করতে পারবে না দালালরা। তখন সাধারণ মানুষ এই ঝামেলাপূর্ণ কাজ থেকে রক্ষা পাবেন।

অদূর ভবিষ্যতে পুলিশ ভ্যারিফিকেশনও উঠিয়ে দেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে সেই পর্যন্ত যেতে হলে সবার কাছে স্মার্ট কার্ড পৌঁছতে হবে বলে জানান মহাপরিচালক।

এদিকে, পাসপোর্ট অধিদফতরের কাজের গতি বাড়াতে এফিস (AFIS-Automated Finger Print Identification Software) নামে যে সফটওয়ার ব্যবহার করা হয়, তার ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আরেকটি পৃথক আবেদন করা হয়েছে।

এটি পাস হলে কাজের গতি অনেকটা বৃদ্ধি পাবে। আগের ধারণ ক্ষমতা ছিল এক কোটি। কিন্তু এরই মধ্যে পাসপোর্ট হয়ে গেছে এক কোটি ৪৩ লাখ।

ফলে এখন একজন নাগরিককে জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট দিতে চাইলেও ওই ব্যক্তির তথ্য দিতে সফটওয়ারটি এক ঘণ্টার জায়গায় ৪ ঘণ্টা সময় নিচ্ছে। এতে ১ দিনের জায়গায় ৪ দিন লেগে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান বলেন, ১ কোটির জায়গায় ৩ কোটির আবেদন করা হয়েছে। এটি (ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি) হলে পরবর্তীতে আর কোন সমস্যা হবে না।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪১৭ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930