শিরোনামঃ-

» খাদিজার অনুভূতি ফিরছে তবে কথা বলবে ৭ দিন পর

প্রকাশিত: ১৮. অক্টোবর. ২০১৬ | মঙ্গলবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের চাপাতির আঘাতে গুরুতর আহত সিলেটের কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের অনুভূতি ফিরে আসছে। তিনি চোখ খুলছেন, ডাকলে সাড়া দিচ্ছেন। এমনকি পরিচিতদের চিনতেও পারছেন। তবে শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম থাকায় ব্যথায় কাতরাচ্ছেন তিনি। ৭ দিন পর স্বাভাবিক কথা বলতে পারবেন বলে জানান স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডা. রেজাউস সাত্তার।

ডা. রেজাউস সাত্তার মঙ্গলবার জানান, ১০ অক্টোবর নিঃশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে গলায় অস্ত্রোপচার করা হয়। সেখানে একটা টিউব বসানো আছে। টিউবটি খুলে ফেললে ৭ দিনের মধ্যে সে কথা বলতে পারবে বলে আশা করছি। খাদিজার শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে। লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়েছে। এখন তাকে ডাকলে চোখ খুলে, সাড়া দেয়।

খাদিজাকে আরো সুস্থ করে তুলতে সোমবার বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে খাদিজাকে অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) নেয়া হয় বেলা ১টায়। অস্ত্রোপচারের আগে ড্রেসিং করানো হয়। অর্থোপেডিক সার্জনরা পরে তার অস্ত্রোপচার করেন।

ডাক্তার রেজা বললেন, ডান হাতের অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। আশা করছি দ্রুত তার এ হাতটি ভালো হয়ে যাবে। তবে বাম হাতে আঘাতের পরিমাণ বেশি থাকায় সেটি এখন অবশ। তাই এখনো সেটির অস্ত্রোপচারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

এ চিকিৎসক আরো বললেন, মাথার বাঁ পাশের মগজে আঘাত পাওয়ায় খাদিজার বাম হাতটির এ অবস্থা। তবে এখনো বলা যাচ্ছে না কতোটুক ভালো হবে। সেটা ভালো অবস্থায় আনতে হলে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি দিতে হবে। সেক্ষেত্রে সময় লাগতে পারে আরো ৩ থেকে ৪ মাস।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় খাদিজার ডান হাতের সফল অস্ত্রোপচার শেষে স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক মির্জা নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘খাদিজার বাঁ হাত অবশ থাকার কারণে শুধু ডান হাতেরই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। মাথার ডান পাশে আঘাত একটু গুরুতর হওয়ায় বাঁ হাত অবশ হয়েছে। তাকে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হবে। আশা করছি শিগগিরই তার বাঁ হাতের অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হবে।’

এদিকে খাদিজার পায়েও কিছু জখম রয়েছে, তবে সেগুলো তেমন গুরুতর নয় বলে জানান এই চিকিৎসক। তিনি বলেন, ‘যেসব কাজ আগে করা দরকার সেগুলোই আমরা গুরুত্ব দিয়ে আগে করছি। আমাদের প্রধান কাজ হলো তাকে দ্রুত সুস্থ করে তোলা।’

এদিকে খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সরকার আমাদের মেয়ের চিকিৎসার ব্যয়ভার নিয়েছে, এ জন্য তাদের ধন্যবাদ। কারণ এতো ব্যয়বহুল চিকিৎসা আমার একার পক্ষে করানো সম্ভব নয়।’

স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের আন্তরিকতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি দেশে এসে আমার মেয়েকে দেখে প্রথমেই চিন্তা করেছি তাকে বাঁচাতে হবে। তবে এ কাজটি সহজ করে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আমার মেয়ের প্রতি তারা খুবই আন্তরিক। তারা নিজের মেয়ে মনে করে তার চিকিৎসা অব্যাহত রেখেছেন।’

গত ৩ অক্টোবর বিকেলে মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজ ক্যাম্পাসে খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রথম দফা অস্ত্রোপচারের পর অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৩৭ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930