শিরোনামঃ-

» ফুটপাত ও রাজপথ দখলমুক্ত করতে সিসিকের প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে সিলেটের ব্যবসায়ী সংগঠন

প্রকাশিত: ০৯. মার্চ. ২০২৫ | রবিবার

নিউজ ডেস্কঃ
সিলেট নগরীর দীর্ঘদিনের সমস্যা হকারদের হাত থেকে ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত করে জনদুর্ভোগ লাঘবে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৯ মার্চ) বেলা আড়াইটায় এই স্মারকলিপি দেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সিলেট জেলা শাখা, সিলেট জেলা ও মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিভাগীয় শহর সিলেটের ফুটপাত ও রাজপথ আজ চরম বিশৃঙ্খল অবস্থায় পতিত হয়েছে। গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী মহলের মদদে মহানগরীর লাখো মানুষ আজ ভাসমান হকারদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন।

হকারদের বেপরোয়া অবস্থানের কারণে সিলেট নগরী এখন যানজট, দুর্ভোগ আর অশান্তির নগরীতে পরিণত হয়েছে। প্রায়ই ঘটছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। নিরাপদে পথ চলার জন্য ফুটপাত থাকলেও তা হকারদের দখলে থাকায় পথচারী চলাচলে এক অস্বস্থিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

শুধু তাই নয় অবৈধ গাড়ি পার্কিং, দোকানপাটের সামনে মালামাল রাখা, সড়কে এলামেলোভাবে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা, হকারদের ইচ্ছেমাফিক বিচরণ গোটা নগরীকে যেন অবরুদ্ধ করে রেখেছে।

মোদ্দা কথা নগরীর ফুটপাত আর রাজপথ এখন হকারদের দখলে। তারা বেআইনীভাবে দখলদারিত্ব কায়েম করে সীমা লঙ্ঘন করে চলেছে।

বর্তমানে রাজপথের মাঝখানও দখলে নিয়েছে হকাররা। সেখানেও তারা নানা পণ্যের পশরা সাজিয়ে বসে আছে। ফুটপাত ও রাস্তায় যত্রতত্রভাবে হকাররা অবস্থান নেওয়ায় বিশেষ করে নারী-পুরুষ, ছাত্র-ছাত্রী, শিশু ও বৃদ্ধদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা।

দীর্ঘদিনের এই সমস্যা নিরসনে এখন পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা আলোর মুখ দেখেনি। সিটি কর্পোরেশন মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে হকারদের তাড়া করলেও পরক্ষণে পুনরায় তারা স্ব স্ব স্থানে চলে আসে।

ইতোমধ্যে সিটি কর্পোরেশন হকারদের পুনবার্সনের জন্য লালদিঘীরপারে জায়গায়ও বরাদ্দ দিয়ে রেখেছে। সেখানের প্রতি হকারদের তেমন কোন আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

এতে করে স্থায়ী কোন সমাধান হচ্ছে না। আমাদের বিশ্বাস আপনার সহযোগিতায় যদি দীর্ঘমেয়াদী বাস্তবসম্মত একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, তবেই বার বার দখলের শিকার থেকে রক্ষা পেতে পারে ফুটপাত।

নেতৃবৃন্দ ফুটপাত দখলমুক্ত করতে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেনঃ

(১) হকারদের জন্য যে নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দ করা হয়েছে, সেখানে তাদের পুনবার্সনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া এবং সে স্থানে সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। যাতে করে তারা ফুটপাত দখল করতে না পারে।

(২) নগরীর ফুটপাত রক্ষায় একটি “ফুটপাত রক্ষা কমিটি” গঠন করা, যাতে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হয়, পথচারীদের দুর্ভোগ লাঘব হয়।

(৩) জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট এবং প্রচারাভিযান চালানো।

(৪) সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারী বৃদ্ধি এবং ফুটপাত ব্যবহারের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে প্রচারণা।

(৫) আইনের যথাযথ প্রয়োগ।

(৬) যেখানে ফুটপাত ভেঙে গেছে বা ব্যবহার অনুপযোগী, সেখানে দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা।

(৭) তারপরেও বিচ্ছিন্নভাবে হকাররা ফুটপাত ও রাজপথ দখল করলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুর রহমান রিপন, সালেহ আহমদ খছরু মো. মনিরুল ইসলাম দবির, মো. আবুল কালাম, জাবেদুল ইসলাম (দিদার), নিয়াজ মো. আকিজুল করিম, আক্তার হুসেন সুহেল, মো. মনজুর আহমদ, মো. ইমতিয়াজ হোসেন আরাফাত, মো. গুলজার খান, মো. সিরাজ উদ্দিন, মো. এনামুল হক, ফরহাদ চৌধুরী, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. জয়নাল আবেদীন, মো. আজীর উদ্দিন, রেজওয়ান আহমদ চৌধুরী, মো. পারভেজ আহমেদ সানি, মো. রিয়াদ রহমান, মো. সুমন, চিরন জিৎ পাল, সাব্বির আহমদ, শাহীন আহমেদ, মো. রুমেল আহমেদ, মো. আতাউর রহমান রজব, খায়রুল ইসলাম, আব্দুল হাদী পাবেল, মো. গুলজার আহমদ, মো. শরীফুজ্জামান চৌধুরী, মো. রুপম খান প্রমুখ।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৬৬ বার

Share Button

Callender

April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930