শিরোনামঃ-

» সিলেটে ১৭’শ শিক্ষাথী নিয়ে ড্রিম স্কুলের উদ্বোধন

প্রকাশিত: ২৭. ফেব্রুয়ারি. ২০২৪ | মঙ্গলবার

সালাম চ্যারিটি ও জমজম বাংলাদেশের উদ্যোগ মহৎ: মেয়র আনোয়ারুজ্জামান

ডেস্ক নিউজঃ

সিলেটের সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে সালাম চ্যারিটি এবং জমজম বাংলাদেশ আজ মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে ড্রিম স্কুল প্রকল্প এর উদ্বোধন ঘোষণা করেছে। এই যুগান্তকারী উদ্যোগটি সফলভাবে সিলেটের বিভিন্ন বস্তি এলাকায়  ৩০টি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছে।

অনুষ্ঠানে নতুন প্রতিষ্ঠিত ড্রিম স্কুল থেকে ১৭’শ জন উৎসাহী ছাত্র-ছাত্রীর সমাগম ঘটে।অনুষ্ঠানটি শুধু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নয়, সিলেটের বিভিন্ন বস্তি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত ৩০ টি ড্রিম স্কুলের শিশুদের জন্য ছিল এক আনন্দের দিন।

এতে অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তৃতা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, খাবার বিতরণ, এবং আকর্শনীয় খেলাধুলা ছিল, যা উপস্থিত সকল শিশুর জন্য একটি স্মরণীয় দিন করে তুলেছে।

ড্রিম স্কুল প্রজেক্ট সিলেটের বস্তির শিশুদের জীবন পরিবর্তনের জন্য আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। আমরা আমাদের বিশিষ্ট অতিথি, অংশীদার এবং প্রত্যেক ব্যক্তির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই যাদের সমর্থন এই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান বলেন, সালাম চ্যারিটি ও জমজম বাংলাদেশ-এর উদ্যোগ একটি মহত উদ্যোগ। বস্তি বাসিদের বাচ্চাদের জন্য তাদের কাছে ৬৫টি স্কুল করে দিয়েছে। আল্লাহ তালায় তাদেরকে তাওফিক দান করুন, আর আমি বিশ্বাস করি আগামী এক বছরের মধ্যে তারা যদি ১০০০ হাজার স্কুল করতে পারে, তাহলে আমার যত শক্তি আছে, তা দিবো, আমি তাঁদের সাথে বসবো  এবং  নিম্ন আয়ের মানুষের সন্তানদেরকে একটি নিয়ে আসা এবং  স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, যারা বাচ্চাদেরকে পড়ান তারা যত্নবান হবেন এবং ভালোভাবে শিক্ষা দিবেন।

একজন  মন্ত্রী, সচিব, ডিজি, সাংবাদিক, পুলিশ, ব্যবসায়ী,  তাদের ছেলে মেয়ে কোন জায়গায় পড়তে পারে, কিন্তু যারা নিম্নআয়ের মানুষ, তাঁদের সন্তানরা ভাল শিক্ষা গ্রহণ করে যদি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে, এটা আমাদের জন্য অর্জন এবং গৌরবের।

তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস জমজম বাংলাদেশ ও সালাম চ্যারিটি এ কাজ করে যাচ্ছেন। এরপক্ষ থেকে সালাম চ্যারিটি ও জমজম বাংলাদেশের করব।   মানবিকতার কল্যাণে সবাই কাজ করতে হবে, যেটা সেটা নির্বাচনী প্রতিনিধি হোক  বা চ্যারিটি সংগঠন হোক সবই  কিন্তু একটি মানবিক সেবা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সালাম চ্যারিটির চেয়ারম্যান শরীফ হাসান আল বান্না এবং জমজম বাংলাদেশে-এর চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মুইজ চৌধুরী প্রমুখ।

বিশেষে অতিথির বক্তব্যে জমজম বাংলাদেশ‘র অবসরপ্রাপ্ত  জয়েন্ট সেক্রেটারি ড. সৈয়দ ওমর  খৈইয়াম বলেন, জমজম বাংলাদেশ ও সালাম চ্যারিটি মহান যাত্রা সিলেটের মাটিতে শুরু হয়েছে, পর্যায়ক্রমে সারা বাংলাদেশে হবে। দুই সংগঠন একত্রিত হয়েছে, তাদের এই প্রতিষ্ঠা আমাদেরকে নতুন পথের সন্ধান দেবে।

জমজম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মুইজ চৌধুরী বলেন, আমাদের জমজম বাংলাদেশ ও  সালাম চ্যারিটি  একসাথে কাজ করবে। আমরা শুনেছি সিলেটে এক হাজারের বেশি বস্তি রয়েছে। আমাদের ডিম প্রজেক্ট ১০০০ বস্তিতে পৌঁছাবে, ইনশাআল্লাহ। এ জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই ও দোয়া চাই।

সভাপতির বক্তব্যে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর ও সালাম চ্যারিটির চেয়ারম্যান শরিফ বান্না এমবিই বলেন, আমার বিশ্বাস, মানুষ হিসেবে সবাই সমান। প্রত্যেক মানুষের জীবনের সমান  সুযোগ থাকা উচিত। যে  যেখানে জন্মগ্রহণ করুক না কেন বা পরিবারের জন্য গ্রহণ করুক না কেন, সালাম চ্যারিটি ও জমজম বাংলাদেশ এই আকাঙ্ক্ষা  বাস্তব রূপ দিতে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করবে। আমাদের লক্ষ্য হল কেউ যেন পেছনে না থাকে। ৩টি দ্বারা সংকল্পবদ্ধ হয়ে আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, মানুষ হিসেবে আমরা স্বপ্ন দেখি। তবে শিক্ষার সুযোগ না থাকলে স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যায়। আজ ড্রিম স্কুল প্রকল্প চালু করতে পেরে আনন্দিত। এই প্রকল্প মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা জাতি হিসেবে গড়ে তুলার আসা রাখি। আমাদের সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে জমজম বাংলাদেশ একত্রে কাজ করলে আমরা আশা সম্ভব।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪১ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031