শিরোনামঃ-

» গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি সিলেটে আহবায়ক কমিটির কর্মীসভা

প্রকাশিত: ০২. জুন. ২০২২ | বৃহস্পতিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার জেলা কার্যালয়ে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি সিলেট কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে এক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকেল ৪টায় সুরমা মার্কেটস্থ জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটির কার্যালয়ে এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়।

মিনারা বেগমের সভাপতিত্বে এবং পারভীনা আক্তারের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক জিন্নাত আরা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক রহিমা জামাল, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির আহবায়ক বাবলী আকন্দ।

এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি এডভোকেট কুমার চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শাহীন আলম, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুরুজ আলী, জাতীয় ছাত্রদল শাবিপ্রবি শাখার সাধারণ সম্পাদক উসমান গনি, বাংলাদেশ স’মিল শ্রমিক ফেডারেশন (রেজি নং বি-২২০০) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, মহিলা নেত্রী তাসলিমা বেগম, নিশাত তাসনিম নিতু।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, উৎপাদনের সকল ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। গামেন্টস, চা-বাগান, চাতাল শ্রমিক, হোটেল, ফার্মাসিউটিক্যালস, নির্মান, ইত্যাদি শিল্প ক্ষেত্রসহ সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা, হাসপাতাল, অফিস-আদালতে পরিচ্ছন্নতাকর্মী, গৃহকর্মী, গ্রামের কৃষাণীদের তথা শ্রমজীবী নারীদের হাড়ভাঙ্গা খাটুনি, রক্ত ঘাম করা পরিশ্রমে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা দেশের অর্থনীতি চালু রাখলেও তারা সম ও ন্যায্য মজুরি পায় না। জনগণের উপর চেপে বসা তিন শোষণর নির্মম নির্যাতন ছাড়াও নারী শ্রমিকরা পুরুষতান্ত্রিক শোষণে জর্জরিত। বিদেশে ও আমাদের নারী শ্রমিকরা উল্লেখিত শোষণ বঞ্চনার শিকার। শিল্পক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীর কম মজুরি, করোনার অজুহাতে শ্রমিক ছাঁটাই, কাজের সময় বৃদ্ধি, আধুনিকতার নামে শ্রমঘনত্ব বৃদ্ধি, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা, অগ্নিকান্ডে হতাহত হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে অসহায় নারী শ্রমিকদের জীবন-জীবিকাকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। জনগন এর থেকে মুক্তি পেতে চায়। বাংলাদেশের নারী সমাজ তথা শ্রমিক, কৃষক, জনতার দুঃখ- কষ্ট, সমস্যা সংকট, শোষণ লুণ্ঠন, নিপীড়ন-নির্যাতনের কারণ হচ্ছে প্রচলিত নয়াঔপনিবেশিক-আধাসামন্তবাদী আর্থসামাজিক ব্যবস্থা। আর এর জন্য দায়ী সাম্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদ ও আমলা মুৎসুদ্দি-পুঁজিকে উচ্ছেদ করার মাধ্যমে অর্জিত হতে পারে নারী তথা সমগ্র জনগনের মুক্তি। এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের নারী সমাজের দায়িত্ব নারী মুক্তির লক্ষ্যে এই তিন শত্রুকে উৎখাত করে জাতীয় গণতান্ত্রিক সরকার, রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্টার সংগ্রামের সাথে নারী-পুরুষের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার আহবান জানান। মিনারা বেগমকে আহবায়ক ও পারভীনা আক্তার কে যুগ্ম আহবায়ক করে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১২৩ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930