শিরোনামঃ-

» জালালাবাদ গ্যাসের উচ্চ চাপ বিশিষ্ট পাইপ লাইনের পাশাপাশি এলাকায় দ্বিতীয় দফায় কয়েক শতক ভূমি উদ্ধার

প্রকাশিত: ২৬. আগস্ট. ২০২১ | বৃহস্পতিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

উচ্চ চাপ বিশিষ্ট গ্যাস পাইপ লাইনের উপর অবৈধ স্থাপনা দ্বিতীয় দফা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জালালাবাদ গ্যাস।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগষ্ট) বালুচর এলাকা থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। উত্তর বালুচর কবির খান’র ৩য় তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংয়ের ভাংচুরের মাধ্যমে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় পরে বালুচর ও ইসলামপুর এলাকায় ১২০টি বাড়িঘর সহ বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

ইতিমধ্যে নোটিশ পাওয়ার পর অনেকে নিজ উদ্যেগে ভেঙ্গে অধিগ্রহনকৃত ভুমি ছেড়ে দেন। এতে কয়েকশ শতক ভুমি উদ্ধার  করে জালালাবাদ গ্যাস।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগষ্ট) উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বদেন সিলেট জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মেজবাহ উদ্দিন। এসময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত (১৬ মার্চ) প্রথম দফায় শাহপরাণ থানাধীন ইসলামপুরে মোহাম্মদপুর নূরপুর আবাসিক এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

সিলেটের জালালাবাদ গ্যাসের অধিকগ্রহনকৃত ভূমিতে অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর, বাড়ী, দোকান কোঠা সরিয়ে নেয়ার জন্য একাধিকবার নোটিশ দেয়া হলেও কর্ণপাত করেননি মালিকরা। নোটিশের পাশাপাশি মৌখিকভাবে অবগত করা হলেও তারা তা আমলে নেননি।

কোন উপায় না পেয়ে গ্যাস লাইনের উপর ঝুঁকিপূর্ণ দোকান বাড়িঘর উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড ।

জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে বসতবাড়ী স্থাপিত উচ্ছেদ সংক্রান্ত ট্রাক্সফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডিজিএম আমিরুল ইসলাম বলেন দেবপুর-কুমারগাঁও উচ্চ চাপ বিশিষ্ট ৪০০ কিঃ মিঃ গ্যাস পাইপ লাইনের পাশাপাশি আবাসিক এলাকায় জালালাবাদ গ্যাসের অধিক গ্রহনকৃত কয়েক শতক ভূমি রয়েছে।

বছরখানেক সময় ধরে কয়েকবার তাদেরকে নোটিশ দেয়া হলে তারা তা আমলে নেননি। এমনকি নিয়ম না মেনে তারা বসতবাড়ী করেছেন, সীমানা প্রাচীর দিয়ে এগুলো সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ ও বেআইনী। তাদেরকে বারবার মৌখিকভাবে বলা সত্বেও অবৈধ স্তাপনা অপসারন করেননি।

তাই আজ দ্বিতীয়দফা বালূচর থেকে অভিযান শুরু হয়েছে এখন থেকে ক্রমান্বয়ে সিলেটে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানের সময় উচ্ছেদ সংক্রান্ত ট্রাক্সফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডিজিএম আমিরুল ইসলাম আরো বলেন গ্যাস নিরাপত্তা আইনে রয়েছে উচ্চ চাপ বিশিষ্ট গ্যাস পাইপলাইনের উভয় পাশে নূন্যতম ১০ ফুট করে মোট ২০ ফুটের মধ্যে কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ করা বিধি বর্হিভূত। বিধি অনুযায়ী এ  উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

উদ্ধার অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে বসতবাড়ী স্থাপিত উচ্ছেদ সংক্রান্ত ট্রাক্সফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডিজিএম আমিরুল ইসলাম কমিটির সদস্য ব্যবস্থাপক আব্দুল মুকিত, ডিজিএম নাজমুল ইসলাম চৌধুরী, ডিজিএম বিপ্লব বিশ্বাস, ব্যবস্থাপক চন্দন কুমার কুন্ড, ব্যবস্থাপক মনোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপক আব্দুর হাকিম, ব্যবস্থাপক ফজলুল হক, উপ-ব্যবস্থাপক মোনায়েম সরকার, সুপার ভাইজার  মোঃ আব্দুল মালেক সহ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ২২৯ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930