শিরোনামঃ-

» ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১৬. জুলাই. ২০২১ | শুক্রবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রিকশা, ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ সিলেট মহানগর শাখা ও সদর উপজেলা শাখার উদ্যোগে বিকল্প ব্যবস্থা না করে ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইকসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহন উচ্ছেদ না করা এবং ৫০ লাখ চালক ও তাদের উপর নির্ভরশীল আড়াই কোটি মানুষের জীবন জীবিকা রক্ষায় পাঁচ দফা দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন করেছে।

আজ শুক্রবার (১৬ জুলাই ২০২১) বিকেল সাড়ে ৪ টায় নগরীর আম্বরখানায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

রিকশা, ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ সিলেট সদর শাখার সভাপতি আব্দুল কদ্দুস এর সভাপতিত্বে ও সংগঠক প্রণব জ্যোতি পাল’র পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রিকশা, ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা আবু জাফর, খাদিম নগর ইউপির সভাপতি রেশাদ আহমদ, মহানগরের আম্বরখানা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম, শহিদ ও সাধারণ সম্পাদক কোরবান আলী, স্বপন আহমদ, সাহেদ, মাসুদ আহমদ প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২০ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে সড়ক পরিবহণ টাস্কফোর্স এর সভায় সারাদেশে ব্যাটারি রিকশা ও ভ্যান চলাচল বন্ধ এবং পর্যায়ক্রমে ইজিবাইক, নসিমন, করিমন ও ভটভটিকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সারাদেশে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক ব্যাটারিচালিত রিক্সা, ইজিবাইক, রিক্সা ও ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে এবং এটা সাধারণ মানুষের একমাত্র বাহন। এই সব রিক্সা, ভ্যান ও ইজিবাইক যাত্রী পরিবহণ, পণ্য পরিবহণ এমনকি রোগী পরিবহনের ক্ষেত্রে দেশের সর্বত্র ব্যবহৃত হয়। বিদ্যুৎচালিত বলে এই সব বাহন শব্দ দূষণ কিংবা পরিবেশ দূষণ করে না।

ছোট ছোট গলিপথে চলাচল করতে পারে এবং ভাড়া কম বলে এই সব বাহন সারা দেশে প্রয়োজনীয় ও জনপ্রিয় বাহনে পরিণত হয়েছে। ইতিপুর্বে বিভিন্ন সময়ে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে তার যে কোন বিকল্প নেই তা বলা হয়েছে। বাংলাদেশে বৈধভাবে ব্যাটারি ও মটর আমদানি এবং তৈরি হয়। ব্যবসায়ীরা তা বিক্রি করেন। মেকানিক বা মিস্ত্রিরা এই ব্যাটারি ও মটর লাগিয়ে রিক্সা তৈরি করেন। রিক্সা চালানোর মত কষ্টকর ও অমানবিক শ্রমের কাজ আর নেই। ব্যাটারি লাগানোর কারনে চালকদের কিছুটা শারীরিক শ্রম লাঘব হয়, ফলে এই রিক্সা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

অনেকে তার শেষ সম্বল বিক্রি করে বা ঋণ নিয়ে রিক্সা কিনে জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করেছে। করোনায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়েরর কারনে মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হচ্ছে। করোনার প্রথম ধাক্কায় নতুন করে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়েছে। এই সময়কালে রিক্সা বন্ধ করে দিলে আরও ৫০ লাখ রিকশা, ব্যাটারি রিকশা ও ভ্যান, ইজিবাইক চালক বেকার ও কর্মহীন হয়ে পড়বে।

পরিবহণের সাথে যুক্ত চালক ও তাদের উপর নির্ভরশীল প্রায় আড়াই কোটি মানুষ বা তাদের পরিবার পরিজন জীবন- জীবিকা হুমকির মধ্যে পড়বে এবং তারাও নতুন করে দারিদ্রসীমার নীচে নেমে যাবে যা কারো কাম্য নয়।

বক্তারা, করোনার মধ্যে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক রিকশা চালকদের হয়রানি ও রিকশা আটক বন্ধ করার আহবান জানান।

বক্তারা অবিলম্বে লক্ষ লক্ষ রিক্সা শ্রমিক, ক্ষুদ্র মালিক ও এর সাথে যুক্ত অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকার স্বার্থে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের চলাচলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে জনগনের সস্তা, সহজলভ্য বাহন হিসেবে এর নকশা আধুনিকায়ন এবং ব্রেক ও গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা, সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়ন করা এবং ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইকসহ যান্ত্রিক যানবাহনের দ্রুত লাইসেন্স প্রদান করাসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন করার দাবি জানান।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১৭৯ বার

Share Button

Callender

March 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031