শিরোনামঃ-

» সিলেটের ঘাসিটুলায় জমি বিরোধে ভাংচুর-লুটপাট, আহত ৪

প্রকাশিত: ০৮. এপ্রিল. ২০২১ | বৃহস্পতিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সিলেটের ঘাসিটুলায় মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে সোহেলের ক্রয়কৃত জমিতে স্থাপিত বসতঘরে ভাংচুর ও লুৎপাট করেছে প্রতিপক্ষ। এসময় বাধা দিতে গেলে ৪ জন আহত হন।

আহতরা হলেন, সোহেলের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩৫), মেয়ে ফারহানা বেগম (১৭), মা নেহার বেগম (৬০) ও মায়া বেগম (৩০)।

এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানায় আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবুল কালাম, জলিল মিয়ার ছেলে রেজা ও জুবায়ের, মৃত ইলাছ মিয়ার ছেলে বেলাল আহমদ, মৃত ছদই উল্লাহর ছেলে জিলাল মিয়া, মৃত ইলাছ মিয়ার ছেলে দিলাল, মৃত শহীদুল্লাহর ছেলে নাজিম ও সাজন, ছইদ উল্লাহর ছেলে ফয়েজ, মৃত জইন উদ্দিনের ছেলে মটাই সোহেল, ইদ্রিছ মিয়ার ছেলে আখলিছ মিয়া, মেয়ে শামীমা বেগম ও রেশমা বেগম, ইলাছ মিয়ার স্ত্রী জেবিনা বেগম, তবারক আলীর ছেলে মঈন মিয়া সহ অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে ভুক্তভোগীর ছোট ভাই মো. সুমন খান। মামলাং নং ২০/২০২১, তাং ৮ এপ্রিল, ২০২১।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামীদের সাথে সুমন খানের বড় ভাই সোহেলের ক্রয়কৃত জমা-জমা নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের এক পর্যায়ে গত ৭ এপ্রিল আনুমানিক দেড়টার দিকে আসামী সহ অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদীর বড় ভাই সোহেলের ঘর ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। এসময় সোহেলের স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও মেয়ে ফারহানা বেগম প্রতিবাদ করলে আসামীরা লোহার রড দিয়ে তাদের আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।

এসময় আসামী সোহেলের মা নেহার বেগম-কে গলা টিপে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। ঘটনার দিন সোহেলের বাসায় বেড়াতে আসা মেহমান মায়া বেগমকেও এলোপাতাড়ী আঘাত করে বিভিন্ন স্থানে লিলাফুলা জখম করে।

একপর্যায়ে আসামীরা সুটকেচ ও ড্রয়ার ভেঙ্গে ৩ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫০ হাজার টাকা, ১টি টিভি, ৪টি সিলিং ফ্যান, ১টি এলইডি টিভি সহ ঘরের আসবাবপত্র তছনছ ও লুট করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।

এসময় তাদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে পুলিশ এসে ২জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং বাকি আসামীরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয়দের সহেযাগিতায় সোহেলের স্ত্রী, মেয়ে ও মায়া বেগমকে তাৎক্ষণিক সিলেট এম. এ. জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে আহতরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

পরিবারের লোকজন কথিত সন্ত্রাসীদের কার্যকলাপে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তারা প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ২০৭ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930