শিরোনামঃ-

» সিলেটে বিশ্ব যক্ষা দিবস পালিত

প্রকাশিত: ২৪. মার্চ. ২০২১ | বুধবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে এবারের বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ হয়েছে ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিলেটে পালন করা হয়েছে বিশ্ব যক্ষা দিবস।

বুধবার (২৪ মার্চ) সকাল ৯টায় সিলেটের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়েছে। র‌্যালীটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষ করে সিভিল সার্জন অফিসে সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্টিত হয়।

সিলেট সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডলের সভাপতিত্বে ও এমওসিএস ডা. স্বপ্লীল সৌরভ রায়ের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সহকারি পরিচালক ডা. নূর এ আলম শামীম, জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী সিলেটের বিভাগীয় কনসালটেন্ট ডা. শহীদ আনোয়ার রুমি, সিলেটের উপ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল মুনীর রাহিল, সিভিল সার্জন অফিসের প্রোগাম অর্গানাইজার আবদুল আউয়াল প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, যক্ষ্মার প্রকোপ থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হলে সকল যক্ষ্মা রোগীকে চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। আমাদেরকে অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে, যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্যে সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

বিশেষ করে সকলের সাহায্য সহযোগিতায় যক্ষ্মা বিষয়ে গণসচেতনতা মুলক কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে।

সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল সিলেট জেলায় যক্ষ্মা রোগে বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন। ২০২০ সালে ৪২ হাজার ৬ শত ৩২ জন সন্দেহজনক যক্ষ্মা রোগীর এলইডি মাইক্রোসকপি ল্যাবরোটরিতে কফ পরীক্ষা করা হয় এর মধ্যে ৩ হাজার ৪শত ২৭ জনকে যক্ষ্মা রোগী হিসেবে সনাক্ত করা হয়।

একই সালে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মাধ্যমে মোট ৬ হাজার ৫শত ৬৯ জন সকল ধরণের যক্ষ্মারোগী সনাক্ত পূর্বক চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে।

এর মধ্যে কফে যক্ষ্মা জীবাণুযুক্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ২শত ৭৩ জন। কফে জীবাণুমুক্ত ও ফুসফুস বহির্ভূত যক্ষ্মা রোগী সনাক্ত হয়েছে যথাক্রমে ১২০২ ও ১০৯৪ জন।

শিশু যক্ষ্মরোগী (যাদের বয়স ১৫ বছরের কম) সনাক্ত হয়েছে ২৬৫ জন ও সকল ধরণের যক্ষ্মারোগী চিহ্নিতকরণের হার ১৪১ জন প্রতি লক্ষ জনগোষ্ঠীতে। ২০১৯ সালে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মাধ্যমে সনাক্তকৃত সকল ধরণের যক্ষ্মা রোগীর।

চিকিৎসার সাফল্যের হার ৯৪.৬৭%। ২০২০ সালে সিলেট জেলায় অবস্থিত মোট ৯টি জিন এক্সপার্ট ল্যাবরোটরিতে ১০ হাজার ৭ শত ৮১ জন সন্দেহজনক যক্ষ্মা ও ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগী পরীক্ষা করা হয় এবং এর মধ্যে ৪৩ জনকে ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা (এমডিআর) রোগী হিসেবে সনাক্ত পূর্বক চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে।

বর্তমানে সিলেট জেলায় সর্বমোট ২৯ জন ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা (এমডিআর) রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১৫৫ বার

Share Button

Callender

March 2023
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031