শিরোনামঃ-

» এমপিও নীতিমালার বৈষম্য দূরীকরণের দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ২২. নভেম্বর. ২০২০ | রবিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোয় বিদ্যমান সকল অসঙ্গতি দূরীকরণ এবং নতুন করে কোন বৈষম্য ছাড়া ইতিবাচকভাবে নীতিমালা সংশোধনী চূড়ান্তকরণের দাবীতে এমপিওভূক্ত শিক্ষক সমাজ, সিলেটের উদ্যোগে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২২ নভেম্বর) সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের আহŸায়ক জ্যোতিষ মজুমদারের সভাপতিত্বে ও পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষক সমাজের মুখপাত্র এম. এ. মতিনের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম (বাবেশিকফো) সিলেট মহানগরের সভাপতি বাহার উদ্দিন আকন্দ, বাকবিশিস নেতা ও হাওর উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি কাসমির রেজা, সুনামগঞ্জ জেলা সহকারি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বাবেশিকফো এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রুহুল আমিন, বাবেশিকফো এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব কামরুজ্জামান চৌধুরী, কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর কুমার তালুকদার, সহ সভাপতি মো. আব্দুল আলী, সহ সাধারণ সম্পাদক ছয়ফুল আমিন, হাবিবুর রহমান, ইমদাদুল হক, সুব্রত রায়, প্রত্যুষ কান্তি দাস, বাবেশিকফো সিলেট জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক এ. এইচ. এম. এ. বাসিত, আইন বিষয়ক সম্পাদক কাওসার উদ্দিন, কানাইঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক এ. এস. এম. লুৎফুর রহমান, গোলাপগঞ্জ উপজেলা সংগঠক সুমন কুমার রায়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এমপিও নীতিমালা ২০১৮ এ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষকরা ব্যাপকভাবে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। অনুপাত প্রথার মাধ্যমে কলেজের প্রভাষকদের সারাজীবনে মাত্র একটি পদোন্নতির পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

শুনা যাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ থেকে সহকারি অধ্যাপক পদ তুলে দেওয়া হবে। নীতিমালা সংশোধন কমিটির সদস্যদের পরস্পর বিরোধী বক্তব্যে শিক্ষক সমাজ হতাশ এবং আতঙ্কিত। এমনিতেই অনুপাত প্রথার কারনে ৭২% প্রভাষক আজীবন একই পদে থেকে অবসর গ্রহণ করেন। পূর্বের নীতিমালায় বিদ্যমান ৮ বছরে ৯ম গ্রেড থেকে ৭ম গ্রেডের পরিবর্তে ১০ বছর পর ৯ম গ্রেড থেকে ৮ম গ্রেড প্রদানের নিয়ম করা হয়েছে।

এতে আর্থিক সুবিধা বাড়বে মাত্র ১ হাজার টাকা। দেখা গেছে উচ্চতর স্কেলের সাথে ইনক্রিমেন্ট যুক্ত না হওয়ায় প্রভাষকদের বেতন বৃদ্ধির পরিবর্তে আশংকাজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়া পূর্বের নীতিমালায় নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতা সাপেক্ষে সহকারি শিক্ষক/প্রভাষক থেকে প্রধান শিক্ষক/সহ প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ হতে পারতেন।

কিন্তু বর্তমান নীতিমালায় সে সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মাধ্যমিক পর্যায়ে বিএড স্কেলকে উচ্চতর স্কেল ধরায় অধিকাংশ শিক্ষক একটি স্কেল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দাখিল মাদ্রাসার সুপার/সহ সুপার থেকে আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ পদে পদোন্নতির সুযোগ থাকলেও প্রভাষকদের বেলায় সেই সুযোগ নাই। একই যোগ্যতায় স্কুল পর্যায়ের ধর্মীয় শিক্ষক ১০ম গ্রেড পেলেও মাদ্রাসার সহকারি মৌলভীরা ১১তম গ্রেড পান।

নেতৃবৃন্দ আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনী চূড়ান্তকরণের সভায় সকল বৈষম্য দূর করে এবং নতুন করে কোন বৈষম্য সৃষ্টি ছাড়া শিক্ষক বান্ধব এমপিও নীতিমালা চূড়ান্তকরণ ও নীতিমালা জারি করার পূর্বে শিক্ষক মতামত নেওয়ার জোর দাবি জানান।

অন্যথায় সারাদেশে তুমূল আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ২৬৮ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930