শিরোনামঃ-

» সম্মিলিত নাট্য পরিষদের গুণীজন সম্মাননা প্রদান

প্রকাশিত: ১৬. ফেব্রুয়ারি. ২০২০ | রবিবার

জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে নাট্যান্দোলন অগ্রণি ভুমিকা পালন করে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

হলভর্তি দর্শক উপভোগ করলো উদীচী’র নাটক ‘তরঙ্গভঙ্গ’

স্টাফ রিপোর্টারঃ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন- একটি দেশের সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে মানুষের বিবেকবোধকে জাগ্রত করা যায়। দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের প্রচার ও প্রসারে এবং আনুষাঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টিতে সরকার আন্তরিক। তিনি আরও বলেন, নাট্যান্দোলনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে দেশ ও সমাজকে জাগ্রত করা যায়।

তিনি চৌহাট্টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনার বাস্তবায়নে অবদান রাখা সম্মাননাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানান এবং সম্মিলিত নাট্য পরিষদকে এই মহতি উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানান।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট আয়োজিত মহান একুশের আলোকের নাট্য পদর্শনীর ১৫তম দিনে কবি নজরুল অডিটোরিয়াম মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত নাট্যপরিষদ গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

এ বছর ১৯৮৮ সালে চৌহাট্টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর বিক্রম ইয়ামিন চৌধুরী (মরনোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইফতেখার হোসেন শামীম (মরনোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শওকত আলী এবং নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য হবিগঞ্জের নাট্যজন এডভোকেট সুব্রত চক্রবর্তীকে প্রধান অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাট্যপরিষদ সম্মাননা তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইফতেখার হোসেন শামীম মরণোত্তর সম্মাননা গ্রহণ করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাজনীন হোসেন ও বীর বিক্রম ইয়ামিন মরণোত্তর সম্মাননা গ্রহণ করেন ক্রীড়া সংগঠক গোলাম জাবির চৌধুরী জাবু। অনুষ্ঠানের শুরুতেই নৃত্য পরিবেশন করে ছন্দ নৃত্যালয়ের শিল্পীবৃন্দ।

‘একুশে মিছিল, একুশে হাঁটা, একুশ মানে না পথের কাঁটা’ এই স্লোগানে একুশের আলোকে নাট্য প্রদর্শনীর ১৭ দিনব্যাপী আয়োজনের শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিলে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেবজিৎ সিন্হা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আসলাম উদ্দিন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের অধ্যাপক জাকির হোসেন। প্রধান অতিথি সম্মাননাপ্রাপ্তদের হাতে ফুল উত্তরীয় ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমেদ চৌধুরী মিশুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাট্যজন নিজামউদ্দিন লস্কর ময়না, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন নাট্য পরিষদের প্রধান পরিচালক অরিন্দম দত্ত চন্দন।

সম্মাননা গ্রহণ করে অনুভুতি ব্যক্ত করেন- সম্মাননাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। সম্মাননাপ্রাপ্তদের জীবনী পাঠ করেন ইন্দ্রানী সেন শম্পা, সুপ্রিয় দেব শান্ত, অচিন্ত কুমার দে অমিত ও ফারজানা সুমি।

১৭ দিন ব্যাপী এই নাট্য প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে সিলেটের ১৬টি নাট্যদল। নাট্যপ্রদর্শনী উপলক্ষ্যে গতকাল কানায় কানায় পূর্ণ ছিল সিলেট অডিটোরিয়াম দর্শক গ্যালারি। দীর্ঘ সময়ের এই নাট্যপদর্শনীতে সিলেটের নাট্যমোদী দর্শকের উপস্থিতি ও উৎসাহ এযাবতকালের সর্ববৃহৎ নাট্যপ্রদর্শনীকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে।

শনিবার নাট্যোৎসবের ১৫তম দিনে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সিলেট মঞ্চস্থ করে সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ’র ‘তরঙ্গভঙ্গ’ নাটক। এটি নির্দেশনা দেন রতন দেব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টায় ১৬তম দিনে মঞ্চায়িত হবে দিক থিয়েটার শাবপ্রবি’র নাটক ‘এবং ইন্দ্রজিৎ’।

আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় রিকাবীবাজার কবি নজরুল অডিটোরিয়াম মঞ্চে নাটক মঞ্চায়িত হবে। নাটকের প্রবেশপত্র হল কাউন্টারে বিকেল ৫টা থেকে পাওয়া যাবে। ১৭ দিনব্যাপী নাট্য প্রদর্শনীতে সহযোগিতা করছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও জেলা পরিষদ, সিলেট।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৮১৬ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930