শিরোনামঃ-

» আবারও দৈনিক জালালাবাদ’র সম্পাদক-এর দায়িত্ব নিলেন মুকতাবিস উন নূর

প্রকাশিত: ৩০. জুন. ২০১৯ | রবিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃঃ

সিলেটের বহুল প্রচারিত দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার সম্পাদক-এর দায়িত্ব গ্রহণ আবারও করলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক সিলেট প্রেসক্লাবের দীর্ঘকালীন সভাপতি, জালালাবাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মুকতাবিস উন নূর।

২৬ জুন জালালাবাদ সিন্ডিকেটের নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে পূনরায় দৈনিক জালালাবাদ-এর সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

মুকতাবিস উন নূর জালালাবাদের প্রতিষ্ঠালগ্ন ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৮ বছর উক্ত পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্বে অধিষ্ঠিত থাকার পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অব্যাহতি গ্রহণ করেন। এরপর থেকে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের মাধ্যমে পত্রিকার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তিনি ২০১৭ সালে দৈনিক জালালাবাদের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান “জালালাবাদ সিন্ডিকেট লিঃ” এর ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে তাঁকে সিন্ডিকেটের ‘ব্যবস্থাপনা পরিচালক’-এর বাড়তি দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

মুকতাবিস উন নূর ১৯৮১ সালে সিলেটের তৎকালীন জনপ্রিয় সাপ্তাহিক সিলেট কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় যুক্ত হন। দীর্ঘ ১০ বছর সিলেট কণ্ঠ সম্পাদনার পর তিনি ১৯৯১ সালে সাপ্তাহিক জালালাবাদে সম্পাদক পদে যোগ দেন। ১৯৯৩ সালে তিনি দৈনিক জালালাবাদ প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৮১ সালে তিনি সিলেটের শতবর্ষের সাংবাদিকতার স্মারক প্রতিষ্ঠান সিলেট প্রেসক্লাব এর সদস্য পদ লাভ করেন। তিনি ১৯৮৩-৮৪ সনের জন্য সিলেট প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ, ১৯৮৫-৮৬ সালের জন্য সাধারণ সম্পাদক, ৮৭-৮৮, ৮৯-৯০ সালের জন্য সহ সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন মেয়াদে দীর্ঘ ১৪ বছর ঐতিহ্যবাহী সিলেট প্রেসক্লাব-এর নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন থেকে ইউনেস্কো অনুমোদিত সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান নিউজ নেটওয়ার্ক-এর সিলেট কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মুকতাবিস উন নূর ১৯৯৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক চ্যারিটি সংস্থা ইক্বরা ইন্টারন্যাশনাল-এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টার’র চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একই সময় থেকে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কুদরত উল্লাহ মসজিদ কমপ্লেক্স এর সেক্রেটারী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। প্রতিবন্ধী শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবার লক্ষ্যে সিলেটে ২০১৩ সালে ইক্বরা প্রতিষ্ঠিত ইক্বরা প্রতিবন্ধী শিশু হাসপাতালের শুরু থেকে তিনি এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মুকতাবিস উন নূর ৮০’র দশকে সিলেটের সুখ্যাত সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন “সংলাপ সাহিত্য সংস্কৃতি ফ্রন্ট”-এর যথাক্রমে সেক্রেটারী জেনারেল ও চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কবি দিলওয়ার পরিষদ-এরও দীর্ঘদিন যথাক্রমে সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইতোপূর্বে “ইসলামী ব্যাংক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি” ও “ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন” লোকাল কমিটির সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, সিলেট ডায়বেটিক সমিতি, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেটের আজীবন সদস্য।

২০১৬ সালে তাঁর গ্রন্থ “সময় অসময়” এবং “আমার দেখা সামাদ আজাদ ও সাইফুর রহমান” প্রকাশিত হলে পাঠক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ৩ পুত্র সন্তানের জনক। তাঁর বড় ছেলে আমিন উন নূর ব্যবসা প্রশাসনে মাস্টার্স শেষে বর্তমানে লন্ডনে কর্মরত, মেজো ছেলে আলবাব উন নূর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ মাস্টার্স শেষে আমেরিকায় কর্মরত ও ছোট ছেলে আশরাফ উন নূর কানাডার মেমোরিয়েল ইউনিভাসিটি অব নিউ ফাউন্ডল্যান্ড-এ কমপিউটার সায়েন্স বিষয়ে উচ্চ শিক্ষারত।

তাঁর স্ত্রী মিসেস শাহিদা নূর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষয়িত্রী। তিনি সিলেট পুলিশ লাইন্স হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা, শাহজালাল জামেয়া স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষিকা, জালালাবাদ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রভাষিকা এবং সর্বশেষ দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটির সিলেট সেন্টারের এমএড কোর্সের প্রভাষকের দায়িত্ব পালন করেন। শাহিদা নূর সৃজন সাহিত্য সংঘ সিলেটের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৬৯ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930