শিরোনামঃ-

» ভুমি খেকোদের কুদৃষ্টি; শ্রীরামপুরের রায়হান খানকে রাজনৈতিকভাবে হেনস্থা

প্রকাশিত: ৩০. ডিসেম্বর. ২০১৭ | শনিবার

দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধিঃ
ভুমি খেকোদের কুদৃষ্টি পড়ায় সিলেটের শ্রীরামপুর নিবাসী শান্তিপ্রিয় নিরীহ প্রকৃতির লোক মো. রায়হান খানকে রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন সময়ে ভয়াবহ হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে।

জানা যায়, মো. রায়হান খানের পিতার নাম মো. মাসুক খান ও মাতার নাম রিনা বেগম। তাদের বাড়ি সিলেটের মোগলাবাজার থানাধীন শ্রীরামপুর গ্রামে। দুস্কৃতিকারীদের ভয়ে তাঁরা সবসময় তটস্থ থাকেন এবং নিজ গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র ভয়ে আত্বগোপনে থাকতে হচ্ছে।

জানা গেছে, মো. রায়হান খান ও তাঁর পরিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র একনিষ্ট সমর্থক। এই গ্রামের গুটিকয়েক পরিবার ছাড়া সবাই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত লোক।

মো. রায়হান খানের সাথে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় জানা যায়, তিনি ও তাঁর পরিবার দীর্ঘদিন যাবত ধরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে নির্যাতিত হয়ে আসছেন। শ্রীরামপুর স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার সুহেল মিয়া দুর্নীতিপরায়ন ও লোভী প্রকৃতির লোক।

নির্যাতিত মো. রায়হান খানের দাদার সমুদয় সম্পত্তি মৌরসী সুত্রে তাঁর পিতা মালিক হওয়ায় এবং পিতার সারাজীবনের কষ্টার্জিত টাকায় ২০১৭ সালে ৮০ ডিসিমেল কৃষি ভুমি ক্রয় করলে সরকার দলীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা সুহেল মিয়ার কুদৃষ্টি ঐ জমির উপর পড়ে ও ভুমি খেকো সন্ত্রাসীরা সিন্ডিকেট করে পরিকল্পিতভাবে তাঁদের জমি দখলের পাঁয়তারা করে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে বসতবাড়ি ও এলাকা থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। সন্ত্রাসী সুহেল মিয়া হুমকি, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এবং দলীয় প্রভাবে নিরপরাধ যুবক রায়হান ও তার পরিবারের ওপর অন্যায় অত্যাচার দীর্ঘদিন থেকে চালিয়ে আসছে।

সে আইনের দারস্ত হয়ে কোন সুফল পাচ্ছে না। রায়হান খান বলেন, আমার বড় ভাই সহজ সরল প্রকৃতির লোক। তাকেও তারা বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে। আমার পিতা দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ।তাই তারা এখন আমার পিছনে লেগেছে। আমার মুখ চিরদিনের জন্য বন্ধ করে দিতে চায় এবং আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে যাবৎজীবন জেলে পাঠাবে বলে হুমকি দেয় কুখ্যাত সন্ত্রাসী সুহেল মিয়াসহ তার লোকজন।

আমাকে প্রানে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০/০৭/২০১৭ইং তারিখে রাত অনুমান ১১.৩০ মিনিটের সময় বাড়ি ফেরার পথে ভুমি খেকো কতিপয় সন্ত্রসীরা আমার বাড়ির সামনে ওৎপেতে থাকাবস্থায় বাড়ির সামনে আসামাত্র মুখোশধারি সন্ত্রাসীরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাকে প্রাণে হত্যা করার জন্য আক্রমন করে। তৎক্ষণাৎ আমি প্রাণ রক্ষার জন্য আর্থচিৎকার করতে থাকি এবং তাঁদের একজনকে ধাক্কা মেরে দৌড়ে বাড়িতে যেতে সক্ষম হই।মাথায় এবং পায়ে আঘাতে রক্তাক্ত হই।সেদিন আপাতত প্রাণে রক্ষা পাই। থানায় সুহেল মিয়া ও তার কর্মীদের নামে মামলা করতে গেলে অফিসার মামলা গ্রহন করে না। তখন থেকে আমি আরো বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি।

স্থানীয় বর্ষীয়ান ও সালিশ ব্যক্তিদের দ্বাড়ে দ্বাড়ে গিয়ে কোনো ন্যায় বিচার পাইনি। এদিকে সুহেল মিয়ার লালিত পালিত কর্মীরা আমার বাড়িতে এসে আমাকে না পেয়ে আমার পিতার নিকট শাসিয়ে যায় যে, দ্রুত এই বসতবাড়ি, ভিটেভাটি ও ভুমি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে। নতুবা আমাকে গুম ও খুন করা হবে। এজন্য আমার পিতা-মাতা সবমসময় আমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতেন যে, তারা আমার কোনো বড় রকমের ক্ষতি করে ফেলতে পারে।

এমতাবস্থায়, কিছুদিন পরে দেশে নির্বাচনের প্রাককালে বিরোধী দল তথা বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর সারা বাংলাদেশ জুড়ে প্রত্যেক থানায় কয়েক হাজার মিথ্যা মামলা দেয়া হলে জানতে পারি, আমাকে ২নং আসামী করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মোগলাবাজার থানায় জি.আর মামলা নং-২৩৫/১৭ইং দায়ের করা হয়েছে।

২১/০৯/২০১৭ইং তারিখে রাতে পুলিশ ঘুমন্ত অবস্থায় আমাকে গ্রেফতার করে চোখ বেধে অমানবিক নির্যাতন চালায়। আমি পুলিশের নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে কারা মেডিকেলে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় ও ৩ মাস কারাভোগের পর আমি জামিনে মুক্তি পাই। আমি শারিরীক ও মানসিকভাবে অশান্তির মধ্যে আছি এবং ব্যক্তিগতভাবে খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই আমি মানবধিকার সংস্থার সাহায্য কামনা করছি।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৪৫ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031