শিরোনামঃ-

» অ্যাডভোকেট মো. ইয়াহিয়া হলেন খাঁটি দেশপ্রেমিক ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন নিবেদিত প্রাণ

প্রকাশিত: ১৩. আগস্ট. ২০১৭ | রবিবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ একজন সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট মো. ইয়াহিয়া। বৃহত্তর রাজশাহীর চাঁপাই নবাবগঞ্জের ভোলা হাট থানার চামুসা গ্রামে জন্ম তাঁর। বহু গুনে গুনান্বিত এই আইনজীবী নেতা বর্তমানে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এর ৫নং ওয়ার্ড উত্তর পাড়ায় তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

ভোলাহাটের “হোসেন ভিটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়” থেকে তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু। সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৬৮ সালে ভোলাহাট রামেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন। তারপর রাজশাহী সিটি কলেজ থেকে এইচ এস সি ও স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন অত:পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল এল বি ডিগ্রি অজর্ন করে ১৯৭৮ সালে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তি হয়ে রাজশাহী বার সমিতিতে যোগদান করেন।

আইন পেশায় তাঁর দক্ষতা ও পারদর্শিতার কারণে অল্প দিনেই আইনাঙ্গনে হয়ে উঠেন অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন আইনজীবী। তাঁর সুনাম ও খ্যাতি ছড়িয়ে পরে চারদিকে। তাঁর চারিত্রিক গুনাবলী আর মাধুর্য্যতায় ঠাই করে সিনিয়র জুনিয়র সকল আইনজীবীদের মনে।

যার ফলশ্রুতিতে রাজশাহী আইনজীবী বার সমিতিতে প্রথমে প্রেস এান্ড ইনফরমেশন বিষয়ক সম্পাদক, পরপর ৪ বার সহকারী সাধারন সম্পাদক, ২০০২ ও ২০০৩ সালে পরপর ৩ বার সাধারন সম্পাদক এবং ২০০৮ ও ২০০৯ সালে পরপর ২ বার সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।

আওয়ামীলীগের দূর্দিনে আইনী লড়াই করেছেন তৎকালীন সেই সৈরাচারী শাষকগোষ্ঠীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে, বিনা ফি তে আইনী সহায়তা করেছিলেন ওয়ান ইলেভেন এ নির্যাতিত অনেক আওয়ামীলীগ নেতাদের। শুধু তাই নয় সংগাম করে যাচ্ছেন আইনজীবীদের কল্যাণ্যে।

রাজশাহী আইনজীবী বার সমিতির বর্তমানে কল্যাণ তহবিল বৃদ্ধির পরিকল্পনাকারী এবং কল্যাণ তহবিল স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন ও তা সমিতির অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রেও রেখেছেন অসামান্য ভূমিকা। কল্যান তহবিলের পরপর ২ বার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে করেছেন।

তাঁর গুনের পরিসীমা শুধু রাজশাহী বিভাগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। কথায় বলে আকাশে চাদঁ উঠলে যেমন সবাই দেখতে পায়, ঠিক তেমনি মানুষের গুন আর প্রতিভা এমনি জিনিস যা কখনো কোন গন্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকে না তা সবার সামনে প্রজ্জলিত হয়।

অ্যাডভোকেট মো. ইয়াহিয়া বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ২০০৪ সালে প্রথম বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন।

জনপ্রিয়তা আর সততার পুরস্কার হিসেবে পরপর ৪ বার (৩ বার নির্বাচিত ও ১ বার আইন মন্ত্রনালয় কর্তৃক মনোনীত) সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাহী কমিটি, ফিন্যান্স কমিটি, রিলিফ কমিটি, লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ বার বার কাউন্সিলের রুল এন্ড পাবলিকেশন কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ছাত্র রাজনীতিতে অ্যাডভোকেট মো. ইয়াহিয়াঃ লেখাপড়ার পাশাপাশি ছাত্র জীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আরেক সৈনিকের নাম ছিল অ্যাডভোকেট মো. ইয়াহিয়া। একজন তুখোর ছাত্রনেতা হিসেবে সুনামের কমতি ছিলনা এই তেজস্যি ছাত্রনেতার ।

১৯৬৭ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থান ছাত্রলীগ ভোলাহাট থানা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তাঁর নেতৃত্ব এবং সাংগঠনিক কর্মদক্ষতার কারণে ১৯৭৩ সাল পযর্ন্ত ঐ থানার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উল্লেখ্য, ভোলাহাট থানা ছাত্রলীগ কর্তৃক গঠনকৃত ভোলাহাট থানা আওয়ামীলীগ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন প্রয়াত মহিউদ্দিন আহমেদ এবং সাধারন সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সৈয়দ মজুর হোসেনকে আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কার করলে প্রথমে NAP ও পরে BNP তে যোগদান করে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হয়েছিলেন।

এ কথাটি উল্লেখ করা এজন্যই প্রয়োজন ছিল যে ভোলাহাট থানা ছাত্রলীগ, নেতা তৈরী করতে জানতো ও নেতৃত্ব দিতে জানতো। এর মধ্যে ২/১ জন দল থেকে বহিস্কৃত নেতাও দেখা যায় আওয়ামীলীগ আদর্শ আর শিক্ষাকে ব্যবহার করে মন্ত্রী পযর্ন্ত হয়েছিলেন। একেই বলে ভাগ্য।

বর্তমানে গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হিসেবে ও আইন উপদেষ্ঠা বাংলাদেশ রেসম উন্নয়ন বোর্ড এবং মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, রাজশাহীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন ।

দায়িত্ব আর কর্মদক্ষতার নিপুণ কারিগর এই ব্যাক্তির শিক্ষাঙ্গনেও রয়েছে বিরাট ভূমিকা, প্রতিষ্ঠা করেন ভোলাহাট কলেজ যার একক প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তিনি।

উল্লেখ্য, যেখানে বর্তমানে এবং অতীতেও অনেক নেতারাই জনগনের, সরকারের জায়গা দখল নিয়ে ব্যস্ত সেখানে আওয়মীলীগ এর একনিষ্ঠ ত্যাগী নেতা  অ্যাডভোকেট মো. ইয়াহিয়া ভোলাহাট সদরে ১ একর জমি সহ বিশাল একটি ভবন দান করিয়া সেই ভবনেই উক্ত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

জনস্বার্থে নিজ জন্মস্থান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাধীন ভোলাহাটে প্রায় ৪.৫ বিঘা জমি/আমবাগান দান করিয়া উক্ত জমিতে চামুসা সীমান্ত ফাঁড়ি; (BGB) ক্যাম্প স্থাপন করা হয়।

দেশের জন্য, দলের জন্য, আইনজীবীদের জন্য, উনার ভূমিকা অসামান্য। ইউ কে বিডিনিউজ৭১ এর অনুসন্ধানী দলের চীফ এ কে এম কাওসার আহমেদ তাঁকে সামগ্রিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেন যে, আপনি একজন আওয়ামীলীগ এর একনিষ্ঠ কর্মী এবং নেতা, আইনজীবী নেতা দেশের স্বার্থে নিজের শ্রম ও সম্পত্তি বিলিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন, এতে দলের কাছে আপনি কি আশা করেন আপনার কি কোন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে?

উত্তরে তিনি বলেন- আমার জীবনে চাওয়া-পাওয়া হিসাব নিকাশ করে আওয়ামীলীগ করি নাই। দলের জন্য পূর্বেও কাজ করেছি, এখনও করে যাচ্ছি। তবে এটা জানি জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজের মূল্যায়ন দিতে জানেন। দেশের কে কোথায় কি করছে বা করে আসছে সবকিছুরই খবর রাখেন দলের নেত্রী।

আমি ভোলাহাটের সন্তান- ভোলাহাট-গোমস্তাপুর-নাচোল থানার সমন্বয়ে গঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মাটি ও মানুষ আমার প্রানের সাথে মিশে আছে। আমি তাদের জন্য কিছু করার ইচ্ছা আছে।

তবে হ্যাঁ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যেখানে যে দায়িত্ব দিবেন আমি সততার সাথে পালন করে যাব। অনুসন্ধানে উঠে আসে, তাঁর এলাকার বর্তমান জনপ্রিয়তা অনেক বেশী।

এই আসনের অধিকাংশ জনগনের একি কথা যোগ্য মানষ, যোগ্য নেতা হিসেবে অ্যাভোকেট মো. ইয়াহিয়াকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চায়। এখন শুধু সেই এলাকার উৎসুখ জনগন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৭৮ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031