শিরোনামঃ-

» সিলেট প্রফেশনাল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ০২. আগস্ট. ২০১৭ | বুধবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ সিলেট প্রফেশনাল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের প্রথম ব্যাচ এ ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

নগরীর জেলরোডস্থ আনন্দ টাওয়ারে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শফিউল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরূজ্জামান চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আব্দুল জব্বার জলিল, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক, সিলেট প্রফেশনাল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, মদনমোহন কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবুল কাশেম এবং সিলেট প্রফেশনাল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ আল শাহরিয়ার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. কামরূজ্জামান চৌধুরী বলেন- সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থায় লেখাপড়া করার পর অনেকেই নিজে বেকার থাকে এবং তার পরিবার অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকে। এই জ্ঞানের মাধ্যমে তিনি নিজে থেকে যেমন কোন কিছু করতে পারেন না, তেমনি বাংলাদেশের বাস্তবতায় যথেষ্ট পরিমাণ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। এমতাবস্থায় কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে হাতে কলমে বাস্তবিক জ্ঞান লাভ করলে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। দেশে ও বিদেশে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পানি উন্নযন বোর্ড, টিএন্ডটি, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, বাংলাদেশ রেলওয়ে, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, মোবাইল ফোন কোম্পানির টাওয়ার নির্মাণে প্রকৌশলী, এনজিও’তে প্রকল্প প্রকৌশলী হিসেবে বিভিন্ন কন্সট্রাকশন ফার্মে এবং নিজস্ব নির্মাণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং করার পর একজন ছাত্রছাত্রী প্রধান প্রকৌশলী, প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী, সাব-এসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান, ল্যাব-টেকনিশিয়ান, প্রধান ইন্সট্রাক্টর, সহকারী ইন্সট্রাক্টর, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন। কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনেক রাস্তা খোলা। কেউ হতে পারেন প্রোগ্রামার, আবার কেউ বা নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর।

এছাড়া গ্রাফিক্স বা ওয়েব ডিজাইনারও হতে পারেন। পাশাপাশি আছে ফ্রিল্যান্সিয়ের সুযোগ। ঘরে বসেই বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের চর্চা করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কাজ করে দিতে পারেন। নিজেই আরও মানুষের কর্মসংস্থান করে দিতে পারেন। আর অফিস আদালত, ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট হাউস, গণমাধ্যম এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি তো আছেই। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং করার পর একজন ছাত্র-ছাত্রী  প্রোগ্রাম সহকারী, প্রোগ্রাম আইটি অফিসার, কম্পিউটার অপারেটর, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, ডিজাইনার, টেকনিশিয়ান, ল্যাব-টেকনিশিয়ান, প্রধান ইন্সট্রাক্টর, সহকারী ইন্সট্রাক্টর পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন। হাই ভোল্টেজ ক্যাবল লাইন, পাওয়ার জেনারেটর প¬্যান্ট, হাউজ ওয়্যারিং, ইন্ডাস্ট্রি, ফ্যাক্টরিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের রয়েছে একটা বড় চাকুরির ক্ষেত্র। বর্তমান সময়ে দেশে বিদেশে তড়িৎ প্রকৌশলীদের জন্য রয়েছে সম্মানজনক জীবিকা নির্বাহের সুযোগ। সহজ কথা, দেশে বা বিদেশে এমন কোন ক্ষেত্র নেই, যেখানে ইলেকট্রিক্যাল ডিপ্লোমাধারীদের চাকুরির ক্ষেত্র নেই। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করার পর একজন ছাত্রছাত্রী ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, ল্যাব-টেকনিশিয়ান, প্রধান ইন্সট্রাক্টর, সহকারী ইন্সট্রাক্টর, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন। আমার বন্ধুদের মধ্যে যারা ডিপে¬ামা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছিল, তারা আজ স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত অবস্থানে রয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আব্দুল জব্বার জলিল বলেন- বিদেশে গেলে বাঙালিদেরকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দিনমজুর এবং নিম্ন শ্রেণির কাজ করতে দেখা যায়। কিন্তু ভারতীয় লোকজন কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হওয়াতে তারা সেখানে ভালো ভালো জায়গায় চাকরি করেন। দেশে অনেক শিল্প কারখানা কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন লোকজন না পেয়ে ভারত এবং শ্রীলংকার লোকজনকে চাকরি দেয়। সিলেট অঞ্চলে নতুন নতুন শিল্পকারখানা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে, সেইক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত লোকজনের প্রচুর চাহিদা।

বিশেষ অতিথি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিসশবিদ্ধালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন- তোমাদের বয়সের ছেলে-মেয়েরা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পরে।

মনে রাখবে, মানসিক বিকারগ্রস্ত এবং হতাশাগ্রস্থরাই জঙ্গিবাদে জড়ায়। মা বাবার ভালবাসার কথা মাথায় রেখে এ সমস্ত ইসলাম ও দেশবিরোধি কার্যক্রম থেকে তোমরা দূরে থাকবে এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পরিবার, দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- সিলেট প্রফেশনাল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের শিক্ষক ইঞ্জিনিয়ার রাজু ব্যানার্জি, ইঞ্জিনিয়ার রোকসানা আক্তার রিমি, ইঞ্জিনিয়ার ইমরান আহমেদ, আম্ভিয়া আক্তার, তাহমিনা, ইমরান হোসেইন চৌধুরী প্রমুখ।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩০৭ বার

Share Button

Callender

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031