শিরোনামঃ-

» এক বছর জরিমানার টাকা ফেরত পেলেন ডা. মিজানুর রহমান

প্রকাশিত: ১৭. জুন. ২০১৬ | শুক্রবার

সিলেট বাংলা নিউজ দিরাই প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান  ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক জরিমানার ৫০ হাজার টাকা এক বছর পর সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ফেরত পেয়েছেন।

জানা যায়, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান তার নামের পূর্বে কেন ডাক্তার ব্যবহার করেন মর্মে ২০১৫ সালের ৩১ মে সুনামগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের মেডিকেল অফিসার ডা. এহসান উজ জামান খান, মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ (১) ধারায় মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

তার প্রেক্ষিতে ওই দিন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট সম্রাট খীসা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ডা. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ (১) ধারায় অভিযোগ গঠন করে ৫০ হাজার টাকার অর্থদন্ড প্রদান করেন এবং তাৎক্ষনিকভাবে তা আদায় করা হয়।

আদায়কৃত টাকা ১ জুন ২০১৫ তারিখে চালান নং-৩ মূলে সোনালী ব্যাংক সুনামগঞ্জ শাখায় সরকারী কোষাগারে জমা রাখা হয়।

উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান ৯ জুলাই ২০১৫ ইং তারিখে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সুনামগঞ্জ এর আদালতে আপীল দায়ের করেন।

আপীলের সময় দাখিলকৃত ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃত প্রদত্ত সার্টিফিকেটগুলো সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টানে প্রেরণ করা হলে ৪ এপ্রিল ২০১৬ ইং তারিখ বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় কাউন্সিল হতে সার্টিফিকেট ২টি সঠিক মর্মে আদালতকে জানানো হয়।

আপীল শুনানী শেষে আদালত আদেশ প্রদান করেন যে, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে আপীল্যান্ট মহামান্য আদালতের সেই সময়ে বলবৎ কোন আদেশ না দেখানোতে ভ্রাম্যমান আদালত আদেশ প্রদান করেন।

পরে আপীল শুনানীতে মহামান্য আদালতের আদেশ দাখিল করায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালীন সময় মহামান্য আদালতের আদেশে আপীল্যান্ট নামের আগে ডাক্তার শব্দটি ব্যবহার করায় আপীল্যান্ট আইনের ব্যতয় ঘঠাননি।

তাই আপীল্যন্টকে  দন্ডকৃত অর্থ ফেরত পাবার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে আবেদন করার জন্য বলা হয়।

আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ডা. মিজানুর রহমান সুনামগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে আবেদন করলে ৫০ হাজার টাকা তাকে ফেরত দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে ডা. মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল হতে এমবিবিএস, বিডিএস এবং ডিএমএফ যারা নিবন্ধিত চিকিৎসক তারা নামের পূর্বে ডা. ব্যবহার করতে পারেন।

ডা. এহসান উজ জামান খান এ আইনটি জানার পরও ইচ্ছাকৃতভাবে ভ্রাম্যমান আদালতকে ভূল তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এ কাজটি করিয়েছেন।

আমি আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ আমার প্রতি ন্যায় বিচার করার জন্য।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫২৩ বার

Share Button

Callender

March 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031