শিরোনামঃ-

» বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন,সিলেট জেলা কমিটি গঠিত

প্রকাশিত: ১৪. অক্টোবর. ২০২২ | শুক্রবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন, সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে  র‍্যালী, আলোচনা সভা ও কমিটি পরিচিতি শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হয়।
বিকাল ৩টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে র‍্যালী শুরু করে বাংলাদেশ আইনজীবী সমিতির ৩নং বার মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও কমিটি পরিচিতি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়।
সভায় বিরেন সিং এর সভাপতিত্বে ও অজিত রায় এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড উজ্জ্বল রায়, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন, সিলেট জেলার আহবায়ক মোখলেসুর রহমান, জেলা সদস্য প্রসেনজিৎ রুদ্র।
আরো বক্তব্য রাখেন, হৃদয় লোহার, নমিতা রায়, উষা রানী বুনার্জি প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, চা শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি করাসহ আরো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দাবি নিয়ে ১৯ দিনব্যাপী অনাহারে অর্ধাহারে থেকে এক লড়াকু মানসিকতায় আন্দোলন করেছে ও মালিকপক্ষ, দালাল নেতৃত্ব ও রাষ্টীয় টালবাহানা মোকাবিলা করে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে। এই আন্দোলনের ফলে প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের ভূমি অধিকার ও গৃহ নির্মানের অঙ্গিকার করতেও বাধ্য হয়েছে। কিন্তু ১৯ দিনের এই আন্দোলন চলাকালীন সময়ে শ্রমিকদের পুর্নাঙ্গ বেতন ও রেশন মালিকপক্ষ এখনও প্রদান করেনি যা অন্যায়, প্রতারনার শামিল এবং শ্রম আইনের পরিপন্থী।
অন্যদিকে চুক্তি বিলম্বিত সময়কালীন এরিয়ার বিল নিয়েও চলছে মালিকপক্ষের তালবাহানা। এই এরিয়ার বিল দেয়া হয় কয়েক দফায় তাও আবার শুধুমাত্র স্থায়ী শ্রমিকদের। যাতে থাকে শ্রমিক ঠকানো মালিকের ফাকিবাজির হিসাব।আমরা এই পূর্নাঙ্গ এরিয়ার বিল স্থায়ী ও অস্থায়ী সকল শ্রমিকদের প্রদান ও অবশ্যই এককালীন পরিশোধের দাবি জানাই।বর্তমানে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম শ্রমিকদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। সব সেক্টরের শ্রমিকদের অবস্থা খুবই শোচনীয়, চা বাগানের ক্ষেত্রে অবস্থা আরো অমানবিক, নাজুক। বর্তমান বাজারের সাথে চা শ্রমিকদের এই মজুরি গ্রহণযোগ্য তো নয়ই, বরং অযৌক্তিক ও অন্যায়। আমরা আমাদের সংগঠন এর পক্ষ থেকে তা ৫০০ টাকা করার দাবি জানাচ্ছি। কারন আমরা বিভিন্ন সময় বলেছি, ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে  শ্রমিক পরিবারের নুন্যতম শারীরিক চাহিদা পূরন, জীবনযাত্রার খরচ, চিকিৎসা, যাতায়াত, শিক্ষা, পোশাক সহ আনুসাঙ্গিক খরচ ইত্যাদি বিচার-বিবেচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিউট হিসেব করে দেখিয়েছেন ৫ সদস্যের একটি পরিবারের নুন্যতম খাবারের জন্য ৬২৫ টাকা দরকার হয়, যা বর্তমান জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারনে আরো বেড়েছে।
চা বাগানের সার্বিক দিক বিবেচনা করলে একটি পরিবার ৫০০ টাকা দৈনিক মজুরি ছাড়া নূন্যতম মানবিক জীবন যাপন করতে পারে না। কিন্তু মালিকপক্ষ বিভিন্ন গোজামিল ও ফাঁকির হিসাব দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করছে। তাই আমরা মনে করি আন্দোলনের পূর্নাঙ্গ বিজয় অর্জিত হয় নি।তাই পুর্নাঙ্গ বিজয় অর্জন করতে হলে আগষ্টের এই আন্দোলনের চেতনায় শানিত হয়ে যথাসময়ে চুক্তির মাধ্যমে মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণ, ভূমি অধিকার, রেশন বৃদ্ধি, প্রতি বাগানে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন, এম্বুলেন্স প্রদান করে চিকিৎসাসেবা উন্নতকরণ সহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন জোরদার করতে হবে।চা শ্রমিকদের ঐক্যকে সুসংগঠিত করে সেই আন্দোলন সঠিকভাবে আপষহীন ধারায় শক্তিশালী করতে এই  নতুন নেতৃত্ব সামনের দিনে ভুমিকা রাখবে।
সভায় বিরেন সিংকে আহবায়ক ও অজিত রায়কে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
কাউন্সিলে নির্বাচিত সিলেট জেলা কমিটিঃ
উপদেষ্টা মন্ডলীঃ
১) মোখলেসুর রহমান- আহবায়ক, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন, সিলেট জেলা
২) প্রসেনজিৎ রুদ্র- সদস্য, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন, সিলেট জেলা
সভাপতি- বীরেন সিং
সহ সভাপতি– আমেনা বেগম
সহ সভাপতি– পঞ্চমী লোহার
সাধারণ সম্পাদক– অজিত রায়
সাংগঠনিক সম্পাদক– হৃদয় লোহার
দপ্তর সম্পাদক– চম্পক বাউরী
অর্থ সম্পাদক– নমিতা রায়
প্রচার সম্পাদক– রাখাল লোহার
সদস্যঃ
১) উষা বুনার্জী
২) বন্যা বাহাদুর
৩) কমলা বেগম
৫) শ্রীধাম মুদি
৬) মঙ্গল উরাং
৭) মল্লিকা কর্মকার
৮) সবুজ কর্মকার
৯) জেনী মুদি

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১৯৮ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930