শিরোনামঃ-

» ছাত্র রাজনীতি সুনামে ফিরিয়ে আনতে হবে : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত: ২৫. ডিসেম্বর. ২০২২ | রবিবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ

ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ছাত্র রাজনীতিকে দুর্নামের পথ থেকে বের করে আনতে হবে।

‘ঐতিহ্যবাহী রাজনীতির সুনামের ধারা কোথায় যেন তলিয়ে গেছে। ছাত্র রাজনীতিকে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। আর এজন্য লিডারশিপকে স্মার্ট ও আকর্ষণীয় হতে হবে। শুধু দামি দামি পোশাক পরিধান করলেই স্মার্ট হওয়া যায় না। চেতনায়, মনে স্মার্ট হতে হবে। তাহলে বাইরে স্মার্ট দেখা যাবে।’

রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শুনি ভর্তি বাণিজ্য, মনোনয়ন বাণিজ্য, সিট বাণিজ্য। প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে সাদ্দামকে সভাপতি, ইনানকে সাধারণ সম্পাদক আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শয়নকে সভাপতি, সৈকতকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি করেছেন। আমরা সিভি দেখে, সবার সবকিছু দেখে অনেক আশা নিয়ে তোমাদের দায়িত্ব দিয়েছি। আমার শুধু একটাই চাওয়া ছাত্র রাজনীতিকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছে আকর্ষণীয় করতে হবে। তা না হলে পুরোনো বিষয়গুলো আমাদের আবারও হতাশ করবে। পুরোনো সময়ে ছাত্র রাজনীতি ভালো ছিল। মাঝখানে কী যে হলো। ঠিক করতে হবে। ট্র্যাকে নিয়ে আসতে হবে। শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ চেয়েছেন, সেটা যেন আমাদের কাজে প্রতিফলিত হয়।

টানা তিনবারের মতো দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় জীবনের সব আশা পূর্ণ হয়েছে বলে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মন্ত্রী ছিলাম। আবার ২০১১ থেকে ২০২২ পর্যন্ত মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছি। কতজনের এমন সৌভাগ্য হয়েছে? আমার নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র ৫৪ বছর বয়সে নিহত হন। তিনি অল্প সময়ের জন্য মন্ত্রী হতে পেরেছেন। সেখানে আমার মতো এক শিক্ষকের ছেলে আজ ১৬ বছর মন্ত্রী। সব চাওয়া-পাওয়া পূর্ণ হয়ে গেছে, আর কিছু চাই না।

গ্রামে তার অতীত সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি গ্রাম থেকে এসেছিলাম। আমার বাবা কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে বঙ্গবন্ধুর সহপাঠী ছিলেন। আমি এক শিক্ষকের ছেলে। যিনি চাকরি করতেন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে। আমি গ্রাম থেকে এ শহরে এসেছি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ছিলাম। স্বাধীনতার পরও কিছুদিন ছিলাম। ছাত্র হিসেবে খারাপ ছিলাম না। মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি এবং এইচএসসিতে প্রথম বিভাগ পেয়েছি। রাজনীতি করলে ক্যারিয়ার নষ্ট হবে, এটা আমি বিশ্বাস করি না। যে পারে সে সব পারে। রাজনীতিতে কমিটমেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ। চ্যালেঞ্জ অতিক্রমের মানসিকতা থাকতে হবে। জীবন একটি চ্যালেঞ্জ। স্রোতের প্রতিকূলে আমরা লড়াই করছি। জীবনের অপর নাম আপসহীন লড়াই। যে নদীতে ঢেউ নেই, সেটি নদী নয়। যে আকাশে মেঘ নেই, সেটি আকাশ নয়। যে প্রকৃতিতে দুর্যোগ নেই, ঝড় নেই সেটি প্রকৃতি নয়।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অ্যালামনাইদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানান। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ ও মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, ঢাকা ইউনিভার্সিটি পলিটিক্যাল সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (ডুপডা) সভাপতি মিজানুর রহমানসহ বিভাগের অ্যালামনাইরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠান থেকে পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান ও ডুপডার মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১৭৫ বার

Share Button

Callender

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930