- বদলে যাওয়া ওসমানী হাসপাতালের কারিগর ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাহবুব
- গণতন্ত্র দিবসের কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে মহানগর বিএনপির মতবিনিময় সভায়
- শাহ আব্দুল করিম স্মরণে চারণের “দ্রোহকালে বাউল করিম” অনুষ্ঠিত
- সিলেট মুক্তচিন্তক অভিজিৎ স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন
- পিসি ফার্মা এর উদ্বোধন
- ছাতকে বিএনপি অঙ্গ-সংগঠনের মতবিনিময় সভা
- সিলেট ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে বন্যার্তদের সহযোগতায় সিলেট বিএনপি ও জামায়াতের ত্রাণ তহবিলে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা প্রদান
- সিলেট চেম্বারের বোর্ড বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান
- দেওয়ান বাজার ইউনিয়ন বিএনপির জনসভা
- অসুস্থ ফটো সাংবাদিক মামুনের শয্যাপাশে সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর
» ফিরে দেখা ১ মাস; করোনায় যুক্তরাস্ট্রে বিস্ময়ের যতো ইতিহাস
প্রকাশিত: ১৭. মে. ২০২০ | রবিবার
নিউইয়র্ক থেকে এমদাদ চৌধুরী দীপুঃ
যুক্তরাস্ট্রে গৃহবন্ধী জীবনের ৭৭টি দিবস অতিবাহিত হয়েছে। ৯০ হাজার অতিক্রম করেছে মৃত্যুু বরণের সংখ্যা, এটি ইতিহাস, একটি রাস্ট্রে এতো মৃত্যু! এটি বিস্ময়ের শুরু কিংবা শেষ নয়, ১৫ লাখ অতিক্রম করেছে শনাক্ত হওয়ার সংখ্যা। বিস্ময়কর হলো গত ১৬ এপ্রিল থেকে ১৬ মে শনিবার ১ মাসেই শনাক্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৩০ হাজারের উপরে। মৃত্যু বেড়েছে ৫৫ হাজার ৫৩৩ জনের। এর বিপরীতে সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৮০ হাজার রোগী।
যুক্তরাস্ট্রে করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে পরতে পরতে অনেক বিস্ময়, এই তালিকায় দেশের অঙ্গরাজ্য নিউইয়র্কে এখন শনাক্ত ৩ লাখ ৫৮ হাজারের উপরে, পৃথিবীর কোন দেশে এতো শনাক্ত নেই যা একটি অঙ্গরাজ্যে হয়েছে।
১৬ এপ্রিল থেকে ১৬ মে ১ মাসে এখানে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার প্রায়। করোনা একসময় বিদায় নিবে, তবে যুক্তরাস্ট্রে রেখে যাবে বিস্ময়ের নানা ইতিহাস। মোট মৃত্যু এবং সুস্থতা বাদ দিলে আজো চিকিৎসাধীন অথবা পর্যবেক্ষণে রয়েছেন ১০ লাখ ৭৮ হাজার আমেরিকান। ৩৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল গত ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ১ মাস পরে ১৬ মে সেটি দাড়িয়েছে ৯০ হাজার ১১৩ জনে।
নিউইয়র্কে মৃত্যু এখন ২৮ হাজার ১৩৪ জনের, অথচ ১ মাস আগে ফিরে থাকালে দেখা যায় ১৬ এপ্রিল মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছিল ১৬ হাজার ১৬ জন।
করোনার ইতিহাসে মৃত্যু, শনাক্ত হওয়া যেমন উল্লেখ করার মতো স্মরণ করার বিষয় তেমনি এখানে টেস্টিং এর সংখ্যা বিস্ময় সৃস্টি করেছে বিশ্বময়।
এ পর্যন্ত যুক্তরাস্ট্রে টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ মানুষের শুধু নিউইয়র্কে টেস্ট করা হয়েছে ১৪ লাখের উপর মানুষের।
এত হতাশাজনক বিস্ময় যেমন রয়েছে তেমনি আছে আশাব্যাঞ্জক বিস্ময়ের গল্প। করোনাকালে বিস্ময় এবং আশা-হতাশার সব গল্প মানুষের জীবন,মরনের গল্প।
এই গল্পে রয়েছে মৃত্যুর দোয়ার থেকে ফিরে আসার বিস্ময়কর তথ্য। গত ১৬ এপ্রিল মাত্র ৫৭ হাজার মানুষ সুস্থ হওয়ার খবর ছিল যুক্তরাস্ট্রে সেটি ১ মাসে বেড়ে দাড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজারে।
১ মাস পিছনে ফিরে থাকালে এটি যুক্তরাস্ট্রবাসীকে আশাবাদী করে তুলার মত পরিসংখ্যান ১ মাসে সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৮০ হাজার মানুষ।
এদিকে নিউইয়র্কে ১ মাস আগে ছিল ১৭ হাজার মানুষের সুস্থ হওয়ার এখন যা উন্নীত হয়েছে ৬০ হাজারের উপরে। সুস্থ হওয়ার সংখ্যা পুরো যুক্তরাস্ট্র এবং নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে উন্নতির ধারায় রয়েছে।
এদিকে শনাক্ত বিবেচনায় পৃথিবীর শীর্ষ ৮টি দেশের পর চলে এসেছে নিউজার্সীতে শনাক্ত হওয়ার সংখ্যা এখানে ১ লাখ ৪৬ হাজার শনাক্ত যা পৃথিবীর অন্তত ২০০টি দেশের উপরে।
এখন চীনের উপরে, অঙ্গরাজ্য ম্যাসাচুসেটটে শনাক্ত হওয়ার সংখ্যা যেটি ৮৫ হাজার প্রায়, যা কানাডার উপরে সৌদি আরব, বেলজিয়ামের উপরে অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়াও প্যানসেলভেনিয়া, দেশ হিসেবে সৌদির অবস্থান ১৬তম স্থানে।
যুক্তরাস্ট্রে এই দুই রাজ্যে শনাক্ত ৬৫ হাজারের উপরে। বিস্ময়কর তথ্যের কোন শেষ নেই। শনাক্ত বিবেচনায় পাকিস্তান, চিলি, ন্যাদারল্যান্ড এবং মেক্সিকোর উপরে অঙ্গরাজ্য মিশিগান।
এখানে শনাক্ত ৫০ হাজারের উপরে। এদিকে দেশ হিসেবে মেক্সিকো ১৭তম স্থানে।
১ মাস আগে নিউজার্সীতে শনাক্ত ছিল ৭৫ হাজারের উপরে, মাস পরে সেটি ১ লাখ ৪৬ হাজারে পৌঁছে গেছে প্রায় দ্বিগুন। ১ মাস আগে ফিরে তাকালে দেখা যায় অঙ্গরাজ্যে মৃত্যু ছিল ৩ হাজার ৫১৮ জন, এখন ১০ হাজার ২৫০ জন।
একটি অঙ্গরাজ্য নয় অন্তত ২০টি অঙ্গরাজ্যে ৭৭দিন ধরে বিস্ময়করভাবে শনাক্ত এবং মৃত্যুর মিছিল চলছে। নিউজার্সী সহ আরো ৫টি রাজ্যে অবনতি অব্যাহত রয়েছে।
এই তালিকায় ম্যাসাচুসেট, ইলিনইস, ক্যালিফোর্নিয়া, পেনসেলভেনিয়া ও মিশিগান, মেরিল্যান্ড রয়েছে।
নিউজার্সীতে একদিনে মোট মৃত্যু ১০ হাজার ২৬০ জন, ইলিনইসে মোট ৪ হাজার ১২৯ জন, ম্যাসাচুসেটে মোট ৫ হাজার ৭০৫ জন, ক্যালিফোর্নিয়ায় মোট মৃত্যু ৩ হাজার ২০৮ জন, পেনসেলবেনিয়ায় মোট মৃত্যু ৪ হাজার ৪৮৯ জন।
এছাড়া মিশিগান মোট মৃত্যু ৪ হাজার ৮৮০ জন, ম্যারিল্যান্ডে মোট মৃত্যু ১ হাজার ৯৫৭ জন, এসব রাজ্যে মৃত্যু এবং শনাক্ত নিয়ন্ত্রনের বাইরে রয়েছে।
শনাক্ত এবং মৃত্যু হার দু’মাস ধরে উঠা নামা করছে আবেগ কিংবা রাজনীতি নয় যুক্তরাস্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের গভর্নররা বার বার বলছেন স্ব-স্ব এলাকা এবং রাজ্য লকডাউন তুলে দেয়ার জন্য সব চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে টেস্ট, ট্রেসিং এবং স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা, আশংকা, প্রস্তুতি, সামগ্রিক পরিবেশ সহ ৭টি বিবেচনাযোগ্য বিষয়।
এদিকে শিশুদের আক্রান্ত হওয়া নতুন উদ্বেগের কারন নিউইয়র্কের জন্য বিশেষ করে নবজাতক থেকে ৪ বছরের শিশুরা একণ বেশী আক্রান্ত হচ্ছে।
বহুমাত্রিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে জুনের প্রথম সপ্তাহের আগে নিউইয়র্ক লকডাউনমূক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৩২ বার
সর্বাধিক পঠিত খবর
- হত্যা না করেও ২৬ জনের উপর হত্যা মামলার করলো আওয়ামী লীগ
- সুনামগঞ্জ জেলায় নির্বাচনী হাওয়া; সরেজমিন প্রতিবেদন
- জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহীন আলী গ্রেফতার; উত্তাল দক্ষিণ সুরমা
- তালাকনামা জালিয়াতির দায়ে বিশ্বনাথে কাজী গ্রেফতার; ৭ জন আসামীর উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী
- কিডনী রোগীদের জরুরী তথ্য কণিকা জানা আবশ্যক
এই বিভাগের আরো খবর
- সমৃদ্ধ দেশ গঠনে সকলে মিলে কাজ করতে হবে : ইমদাদ চৌধুরী
- দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা খুলে দেওয়ার দাবিতে সিলেট মহানগর সংবাদপত্র হকার্স সমিতির মানববন্ধন
- ফুলবাড়ী চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন দাবি
- বাম গণতান্ত্রিক জোট, জাসদ ও বাম মোর্চার উদ্যোগে মৌলভীবাজারে ত্রানসামগ্রী বিতরণ
- সাংবাদিক মকসুদের ইন্তেকালে অনলাইন প্রেসক্লাবের ৩ দিনের শোক কর্মসূচি